Breakingঅপরাধচট্টগ্রাম অঞ্চলপার্বত্য অঞ্চলবান্দরবানসারাদেশ

লামায় গাছটানা হাতির মৃত্যু, শিকল বদ্ধ আরেকটি

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক ,লামা ,বান্দরবান : বান্দর বানের লামায় অবৈধ ভাবে আহরিত গাছ টানার কাজে নিয়োজিত এক হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার দিনগত রাতের কোনো এক সময় লামা সদর ইউনিয়নের ক্রাংকু পাড়া এলাকায় ওই হাতিটি মারা যায়। এদিকে রূপসী পাড়া ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংমুখ এলাকার ডলুঝিড়িতে অসুস্থ (পাগল) আরেকটি হাতিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। গহিন বন থেকে গাছ টানার কাজে নিয়োজিত এই হাতিটি খাদ্যাভাব এবং অযত্ম ও অবহেলায় অুসস্থ হয়ে পড়লে লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে অসুস্থ হাতিটিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার পোপা ও লামা খালের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে আহরিত কাঠ পরিবহনের জন্য ২০টি হাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সকল হাতির মালিক চট্টগ্রাম ও সিলেটের প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট।

রূপসী পাড়া ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংমুখ এলাকার কৃষক ওমর ফারুক বাবুল জানান লামা খালের আগায় ১৭টি হাতি দিয়ে অবৈধ ভাবে কাঠ পরিবহন করা হচ্ছে। এখানকার ১টি হাতি পাগল হয়ে সম্প্রতি লোকালয়ে হামলা চালালে আনিছুর রহমান (৩০) নামক দিন মজুরের মৃত্যু হয়। এই হাতিটিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।

লামা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. খোরশেদ আলম হাতি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ক্রাংকু পাড়ায় অসুস্থ হয়ে ১টি হাতি মারা গেছে।

রূপসী পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু জানান, কাঠ পরিবহনের কাজে নিয়োজিত হাতি পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাহুত না রাখায় হাতিগুলো লোকালয়ে হামলা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক ঘর-বাড়ি ও ক্ষেত-ফসল নষ্ট হয়েছে। মানুষের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাতির মালিক আব্দুল মালেক জানান, হাতি দিয়ে কাঠ পরিবহনের টাকা চুরি করে বিধায় মাহুত রাখা হয়নি। তবে গাছ ব্যবসায়ীরা হাতি ভাড়া নিয়ে কাঠ পরিবহন করে থাকে।

লামা সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, হাতি দিয়ে অবৈধ কাঠ পরিবহনের কোন ধরনের অনুমোদন নাই। ব্যক্তি মালিকানাধীন হাতির আক্রমণে নিহত ব্যক্তি সরকারি অনুদান পাওয়ার যোগ্য নয়। এই সকল হাতির চিকিৎসা সহ যাবতীয় দায় দায়িত্ব হাতির মালিকের।

Related Articles

Back to top button