Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

খাগড়াছড়িতে আমের কলিতে ভরপুর বাগান, বাম্পার ফলনে আশাবাদী কৃষক

এস চাঙমা সত্যজিৎ, চেঙ্গী দর্পন, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক, পার্বত্য অঞ্চল :: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার প্রতিটি উপজেলার বাগানে বাগানে আমের কলির নজরকারা দৃশ্য। চলতি বছরে খাগড়াছড়ি জেলায় পুষ্টিকর আমের বাম্পার ফলনের ইঙ্গিত দিয়ে দিচ্ছে। বাগানে গাছগুলোতে থোকায় থোকায় ভরে উঠেছে আমের কলি। এসব কলি দেখে ভাবা যেতে পারে সার্বিক জনপ্রিয় এই ফলের এক চমৎকার ফলন হতে পারে। তবে আম সংগ্রহের আগ পর্যন্ত আবহাওয়ার পরিস্থিতির অনুকূলে থাকবে কিনা তা নিয়েি বিশেষজ্ঞরা রীতিমতো চিন্তিত রয়েছেন।


খাগড়াছড়ি জেলার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সুদর্শন দত্ত বলেন, আমি আমার জীবনে এমন অজস্র মুকুলে ছেয়ে যেতে দেখিনি। বর্তমান অবস্থার দৃশ্যে উৎপাদক ও কর্মকর্তারা মৌসুমী ফলটির বাম্পার ফলনের অনেক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। অকালে মুকুল ঝরা ও অপরিপক্ষ ফল ঝড়েপড়া নিবারণে যথাযথ টেকসই পরিচর্যার ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক বলে অনেকেই মতপ্রকাশ করেছেন।

আম বাগানের মালিক ও ব্যবসায়িরা প্রায়ই এ সমস্যার শিকারে পড়তে হয়।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, চলমান জলবায়ু পরিস্থিতি আমের মুকুল বেড়ে উঠা যুগোপযোগী সময় বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। ইতোমধ্যে আম বাগানের অসংখ্য গাছের মুকুলিত রুপ নজর কাড়ছে ও চলতি মাসের চাষের জন্য অত্যন্ত যুগোপযোগী আবহাওয়ার সুবাধে ৯০% থেকে ৯৫ ভাগ গাছে মুকুলিত হয়ে উঠেছে । তাই আমের কলিও এসেছে ভরপুর।


খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বলেন, কৃষকের যথাযথ পরিচর্যা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা প্রতিটি এলাকায় চাষে সাফল্য এনে দেবে। আমের গঠনের দিক দিয়ে উত্তম ও অধিকতর উৎপাদনের লাভের জন্য কৃষকের মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং মৌমাছি ও অন্যান্য পোকা মাকড়ের হাম থেকে মুকুল বা কলি যে কোনো উপায়ে রক্ষা করতে হবে।অকালে মুকুল ও অপরিপক্ষ ফল ঝড়া বাগান মালিকদের জন্য এক ধরণের দুঃস্বপ্ন । তবে কিন্তু সঠিক নির্দেশনা মেনে চললে এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব বলে তিনি ১০০% আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।।

Related Articles

Back to top button