Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলশীর্ষ সংবাদসারাদেশ

বাজারের আবর্জনায় সৌন্দর্য হারাচ্ছে পানছড়ি’র রাবার ড্যাম

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, পানছড়ি, খাগড়াছড়ি  :
গ্রাম হবে শহর , তাই প্রতিটি গ্রামেই আছে এখন নানা সুবিধা। সেই গ্রামেই রয়েছে নয়নাভিরাম দৃশ্য। কোনটা কৃত্রিম আবার কোনটা প্রকৃতির দান। কৃষি ,যোগাযোগ সহ নানা উন্নয়নে এখন প্রতিটি গ্রামই যেনো শহর। । তবে লক্ষ্য করলে দেখা মিলে সরকারের উন্নয়নের এমন দৃষ্টি নন্দন জায়গা গুলির জড়াজীর্ন ও নোংড়া অবস্থা । তেমনি ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে সৌন্দর্য হারাচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার শান্তিপুরের চেঙ্গী রাবার ড্যাম ।

 

জেলা আওয়ামীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সমির দত্ত চাকমা জানান, শত শত কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে পানছড়ি সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে শান্তিপুর এলাকায় চেঙ্গী নদীর বুকে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো রাবার ড্যাম। ফলে একদিকে যেমন কৃষকের মুখে স্বস্থির হাসি ফুটেছিলো অন্যদিকে দর্শনার্থীদের চেহারায় দেখা মিলেছে প্রকৃতির সৌন্দর্যের ছাপ। ড্যাম চালু হওয়ার সাথে সাথে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীর ভিড় ছিলো লক্ষনীয়। অথচ বর্তমানে বিনোদনের স্থানে এসে দেখা মিলছে ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধের স্তুপ। রাবার ড্যাম এলাকার পুরো নদী জুড়ে জমে আছে ময়লার ভাগাড়। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এতো আবর্জনার স্তুপ আসছে কোথা থেকে ?

২৯ জানুয়ারী ২০২৩ রবিবার দুপুরে পানছড়ি রাবার ড্যামের উপরের অংশের ছবি

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিজয় কুমার দেব বলেন, বাজারের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে চেঙ্গী নদীতে। মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার এ বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। বাজার ব্যবসায়ী ও বাজার মালীরাই ময়লা ফেলছে নদীতে। এটা বন্ধ করা জরুরী।

 

শান্তিপুর রাবার ড্যাম রক্ষনা বেক্ষন ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি সত্য নারায়ন চাকমা বলেন, নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ হিসেবে নদীকেই অবমূল্যায়ন করছি আমরা। প্রতি নিয়তই চেঙ্গী নদীতে ফেলা হচ্ছে পানছড়ি বাজারের সকল আবর্জনা। আর সেটি উজানে রূপ নিয়ে রাবার ড্যামকে ভাটা হিসেবেই বেছে নিয়েছে। ফলে দূষিত হচ্ছে নদী, সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে এই জন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি। গত বছরও ড্যাম এলাকায় দর্শনার্থীর ভীড় ছিলো। এবার পানিতে বাজারের ময়লা আবর্জনা ও মুরগীর নারী ভুড়ি- মল নদীর পানিকে দুর্গন্ধ করে রেখেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দারী না থাকায় এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

 

রাবার ড্যামের এমন করুণ অবস্থা দেখে আক্ষেপ শোনা যায় দর্শনার্থী আবুল কাশেম, মুনেমউজ্জামান রাফি ও রাবার ড্যামবাসী শুভাশীষ ,বিজয় চাকমা প্রদীপ আলোদের মুখে। তাদের দাবী বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার একটি নির্দিষ্ট জায়গা করা হোক। তারা প্রকৃতির এমন করুণ রূপ আর দেখতে চায় না। সুস্থ পরিবেশ টিকিয়ে রাখতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করছেন তারা।

Related Articles

Back to top button