Breakingশীর্ষ সংবাদসারাদেশ

ভাসান চরে আসলো আরো ১০০৯ রোহিঙ্গা

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, নোযাখালী : চতুর্থ ধাপে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো এক হাজার ৯ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে এসে পৌঁছালো।



সকাল ১০ টার দিকে চট্রগ্রামের পতেঙ্গা নৌবাহিনীর রেডি রেসপন্স বার্থ থেকে তাদের নিয়ে ৩টি জাহাজ ভাসান চরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কুয়াশার কারনে চট্রগ্রাম থেকে জাহাজ ছাড়তে এক ঘন্টা বিলম্ব হয় বলে জানা গেছে। এর আগে, সোমবার সড়ক পথে তারা চট্রগ্রাম এসে পৌঁছান। রাতে তাদের বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তারা নৌবাহিনীর ৩টি জাহাজে করে ভাসানচর এসে পৌঁছায়। এসময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন নৌ-বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।


ভাসানচর থানার ওসি মো. মাহে আলম জানান, পূর্বের ন্যায় রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা শেষে গাড়ী যোগে ওয়্যার হাউজে সমবেত করে ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়ম কানুন সর্ম্পকে ব্রিফ প্রদান করা হয়। পরে তাদের ভাসানচরের ক্লাস্টারে স্থান্ান্তর করা হয়।


অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগত রোহিঙ্গাদের তিন দিন খাওয়ানো হবে। পরে তাদের রেশন প্রদান করা হবে।
এর আগে সোমবার দুপুর পৌনে ২ টায় চতুর্থ দফায় প্রথম ধাপে দুই হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা এসে পৌঁছে। তাদের মধ্যে ৪৮৫ জন নারী, ৫৭৭ জন পুরুষ ও ৯৪৮ জন শিশু ছিলো।


উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী-পুরুষ, শিশু সহ নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত ৭,৮,৯,১০ নম্বর ক্লাষ্টারে তাদেরকে রাখা হয়।প্রথমধাপে ভাষানচরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৮১০ জন, পুরুষ ৩৬৮ জন, নারী ৪৬৪ জন।


গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে আরো ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছায়। তাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশী রয়েছে প্রথম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গাদের স্বজন। গত বছরের ৮ মে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জল সীমায় ভাসতে থাকা ২৭৭ রোহিঙ্গাদের আরো একটি দলকে ভাসান চরে স্থানান্তর করা হয়। কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরে বোটে ভাসমান অবস্থা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা দলটিতে ৯২ জন পুরুষ, ১৫৭ জন নারী ও ২৮ জন শিশু ছিল। গত ২৯ জানুয়ারী ভাসানচরে এসে পৌঁছান এক হাজার ৭৭৬ জন রোহিঙ্গা। ।এদের মধ্যে পুরুষ ৪০৪ জন,মহিলা ৫১০ জন এবং আটশত ৬২ জন শিশু রয়েছে। ৩০ জানুয়ারী তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ১ হাজার ৪৬৭ জন রোহিঙ্গা এসে পৌঁছায়। এদের মধ্যে পুরুষ ৩৪৭ জন,মহিলা ৪০৫ জন এবং ৭১৫ জন শিশু ছিলো ।


২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান শেষ হয়। ২০১৯ ইং সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় সকল অবকাঠামো নির্মান। হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ন প্রকল্পে ১২০ টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। এতে ১ লাখ রোহিঙ্গার বাসযোগ্য করা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button