চট্টগ্রামে বোয়ালখালীর শাকপুরা গনহত্যায় শহীদ পরিবারের খবর রাখেনা কেউ
গনহত্যা দিবস পালিত
চট্টগ্রাম:
১৯৭১ ….. চট্টগ্রাম সহ সারা দেশেই নির্মম ভাবে পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমনে অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তেমনই একটি এলাকা চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা গ্রামটি। বেশ সুন্দর, সাজানো গোছানো একটি জনপদ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাই বেশি। কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও গোপন আস্তানা গেড়েছিলেন শাকপুরায়। কিন্তু এদেশীয় স্বাধীনতা বিরোধী যারা বোয়ালখালীতেও সক্রিয় ছিল তারা পাকবাহিনীকে নিয়ে গেল ওই শাকপুরা গ্রামে। নির্বিচারে হত্যা করলো অনেককেই। আহত ও হয়েছিলেন অনেকে।
শাকপুরায় ১৯৭১ এর ২০ এপ্রিলের সেই মর্মান্তিক গনহত্যায় ৭৬ জনের পরিচয় জানা গেছে। কিন্তু সেই গনহত্যায় শহীদ পরিবারের অনেকেই স্বীকৃতি পাননি বলে শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকেই অভিযোগ করা হয়েছ।
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শাকপুরার এই গনহত্যায় শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন স্থানীয় জনগন ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তারা। শহিদ স্মরণে দেশাত্মবোধক গানে মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।
শাকপুরা গণহত্যা দিবস পালন পরিষদের উদ্যোগে স্মৃতিচারন- গান ও কবিতায় “২০ এপ্রিল গণহত্যা দিবস পালিত হয়। বিকেলে পশ্চিম শাকপুরা বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ চত্বরে শাকপুরা গণহত্যা দিবস পালন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ উপলক্ষে এক সভা অধ্যাপক কানাই লাল দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- শিক্ষাবিদ ও শহিদ পরিবারের সদস্য বাদল চন্দ্র দাশ । অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান শিক্ষক ও সমাজ হিতৈষী সাধন কৃঞ্চ খাস্তগীর, শহিদ পরিবারের সদস্য সুজিত কুমার বিশ্বাস মন্টু, আ’লীগ নেতা অনুপ দাশ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি কমরেড ডাঃ অসীম কুমার চৌধুরী, বোয়ালখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধীর বড়ুয়া, শহিদ পরিবারের সদস্য গিয়াস উদ্দিন সোহেল।
উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জনার্দন চৌধুরী রঘুর স্বাগত বক্তব্য ও সংগঠক পুলক চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় স্মৃতিচারণ করেন- মুক্তিযোদ্ধা সুবিমল চক্রবর্তী, প্রধান শিক্ষক তাপস চক্রবর্তী, শহিদ পরিবারের সদস্য তপন দত্ত, বিশ্বজিৎ চৌধুরী আকাশ, সঞ্জয় রায়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান শিক্ষক বিজয় শংকর চৌধুরী, সমাজ হিতৈষী সজল কান্তি চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক কবি লিটন কুমার চৌধুরীসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত স্থানীয় সকল শহিদ পরিবারের সদস্যকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানানো হয়।