Breakingঅপরাধসারাদেশ

আনোয়ারায় ৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার

৩ মাদককারবারী গ্রেপ্তার

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) ও আনোয়ারা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা মূল্যে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার দমদমিয়া নীলা ইউনিয়নের নুরুল হকের পুত্র মাহমুদুল হক (২৩), একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল এলাকার সালেহ আহমদের পুত্র মো. ইব্রাহিম (২৬), ও খলিলুর রহমানের পুত্র জাহেদ হোসাইন (২৫) কে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশের কার্য্যলয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনের মধ্যে ২ জন কলেজ শিক্ষার্থী ও ১ জন পেশায় কৃষক। ধারণা করা হচ্ছে টাকার লোভে তারা এ কাজ করেছে। পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই অভিযান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের একটি বড় সাফল্য। চট্টগ্রামকে মাদকের শূণ্যের কোঠায় নিয়ে যাওয়া হবে। সে লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দীন মাহমুদ সোহেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিক রহমান, সহকারি পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. মফিজ উদ্দিন, আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম দিদারুল ইসলাম সিদকার, পটিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিমসহ পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিক রহমানের নেতৃত্বে পটিয়া ও আনোয়ারা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে আনোয়ারা উপজেলার কালাবিবির দিঘীর মোড় এলাকায় বাঁশখালী-চট্টগ্রাম সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দিগ্ধ ২টি মোটর সাইকেল আরোহীদের থামার সংকেত দিলে তারা মোটর সাইকেল রেখে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ৩ জনকে আটক করলেও  ১ জন পালিয়ে যায়।

এসময় আটককৃতদের তল্লাশি করে তাদের সাথে থাকা ২টি ব্যাকপ্যাকে মোট ১৪টি ইট সদৃশ্য কাগজে মোড়ানো প্যাকেটে ১০ হাজার পিস করে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা এবং ৩০টি নীল রংয়ের প্যাকে ২০০ টি করে মোট ৬ হাজারসহ সর্বমোট ১ লাখ ৪৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এসময়ে ২টি মোটরসাইকেল আর ৫টি মোবাইল সেট জব্দ করে পুলিশ। ১ জন পাচারকারী পালিয়ে যায়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Related Articles

Back to top button