Breakingদুর্ঘটনাসারাদেশ

পাটুরিয়ায় ফেরি ডুবির ঘটনায় পঞ্চম দিনে আরো ১টি ট্রাক উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ :
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ফেরি ডুবির ঘটনায় পঞ্চম দিন পর্যন্ত মোট ৪টি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় ডুবুরি দল।

 

২১ জানুয়ারি,২০২৪ দুপুরের দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা- ট ১১-০৭৮০ নম্বরের ১টি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান,মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ মিয়া।

 

তিনি বলেন , বুধবার একটি ট্রাক ও একটি কভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা গেলেও শুক্রবার আর শনিবার কোনো যানবাহন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। “শনিবার শনাক্তকৃত ট্রাক আজ রবিবার উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নয়টি যানবাহনের মধ্যে চারটি উদ্ধার করা হলো।”তিনি আরো বলেন, বাকি পাঁচটি ট্রাক উদ্ধারের কাজ করছে নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরিরা। আজ ঝিনাই-১ নামে আরো একটি উদ্ধারকারী জাহাজ আসবে। সেটির পানির নিচে স্ক্যান করার ক্ষমতা রয়েছে।”

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, “আজ পর্যন্ত মোট চারটি যানবাহন উদ্ধার করা হয়েছে। আশা রাখছি, প্রত্যয় আজ ডুবে যাওয়া ফেরিটি দৃশ্যমান করবে। ডুবন্ত ফেরিটি ৪০-৫০ ফুট পানির নীচে রয়েছে। “তীব্র শীত আর কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। আশা করছি, আজ সন্ধ্যার আগে ডুবন্ত ফেরিটি দৃশ্যমান করতে পারবে প্রত্যয়।”

 

উল্লেখ্য, বুধবার সকাল ৮টার দিকে নয়টি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে ডুবে যায় রজনীগন্ধা নামের একটি ইউটিলিটি ফেরি। ফেরি ডোবার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন রজনী গন্ধার দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবির। বিআইডব্লিউটিসি র কর্মকর্তাদের ধারণা, তিনি ডুবে যাওয়া ফেরিতেই আটকে আছেন।

 

ডুবে যাওয়া ফেরির হোটেল বয় ও প্রত্যক্ষদর্শী মজনু মিয়া টেনা জানান, তিনি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে বেঁচে গেছেন। কিন্তু ফেরির সেকেন্ড মাস্টার হুমায়ুন কবির সাথে আরো একজন বৃদ্ধ হকারকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি ফেরিতে ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নবগ্রামের আশেপাশে। প্রত্যক্ষদর্শী মজনু আরো জানান, ফেরিতে কোন জলযান আঘাত করেনি, এমনকি ফেরির তলদেশ ফেটেও যায়নি। ওভার লোডের কারণে ফেরির মাঝামাঝি অংশ দিয়ে আস্তে আস্তে পানি প্রবেশ করে এক পর্যায়ে ফেরিটি ডুবে যায়।

Related Articles

Back to top button