Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

জেলখানায় থেকেও গাড়ীতে আগুন দেওয়া মামলার আসামী যুবদল নেতা আরিফ

স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি :
গাড়ী পোড়ানোর মামলায় চার দিন ধরে কারা অন্তরীন থাকা অবস্থায় আরো একটি গাড়ী পোড়ানোর ঘটনায় মামলার মামলার আসামী হয়েছেন যুবদল নেতা জহির খান আরিফ ওরফে আবির। এ ঘটনাটি ঘটেছে খাগড়াছড়িতে। আরিফ জেলার পানছড়ি উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য। সে পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের ফাতেমা নগরের সোহরাব হোসেনের ছেলে।

 

পরিবার ও বিএনপি-র পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়,গত ৫ নভেম্বর বিকাল ৫টার দিকে পুলিশ খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়ার বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ ও যুবদল নেতা জহির খান আবির সহ পাঁচ বিএনপি ও যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জহির খান আবির

তখন তাকে খাগড়াছড়ি জিরো মাইল সংলগ্ন আলুটিলায় মিনি ট্রাকে আগুন দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। খাগড়াছড়ি সদর থানার এসআই মিনহাজুল আবেদীন বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়াসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা রুজু করেন। এ মামলায় ১৮ নং আসামী যুবদল নেতা জহির খান আরিফ। খাগড়াছড়ি সদর থানার জিআর ১৬১/২৩ তারিখ:০৬/১১/২০২৩ ইং মামলায় যুবদল নেতা আবির এখনো কারাগারে রয়েছে বলে দাবী খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এম এন আবছারের।

 

অপর দিকে গত ৮ নভেম্বর ২০২৩ সকাল সোয়া ১০টার দিকে অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা এলাকায় একটি কুরিয়া সার্ভিসের গাড়ীতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ঐ দিন রাতে মাটিরাঙা থানায় একটি মামলা হয়। মাটিরাঙ্গা থানার এসআই মাসুদ আলম পাটোয়ারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং জিআর ১৩১। মামলায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়াকে প্রধান করে ৮৩ জনের নামে মাটিরাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় চার দিন ধরে কারাগারে আটক যুবদল নেতা জহির খান আরিফকে ৫৭ নং আসামী করা হয়েছে।

 

কারাগারে আটক যুবদল নেতা কার সহযোগিতায় জেল থেকে বের হয়ে রাস্তায় পিকেটিং করলো ও কারাগার থেকে ১০ কিলোমিটার দুরে সাপমারা এলাকায় গিয়ে আবার গাড়ীতে আগুন দিল এমন প্রশ্ন তুলেছেন পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে।

 

এ বিষয়ে মাটিরাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জাকারিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রত্যক্ষ দর্শীরা লোকজনের তথ্যে তার নাম এসেছে জানিয়ে বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তার নাম বাদ দেওয়া হবে।

 

Related Articles

Back to top button