Breakingঅপরাধচট্টগ্রাম অঞ্চলসারাদেশ

আখাউড়ায় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপককে তুলে নিতে বাধা দেওয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভিজিট চাওয়ায় এক কর্মচারীকে তুলে নেওয়ার সময় প্রতিবাদ করলে কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধির ওপর হামলা করেছেন দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তের হামলায় সাংবাদিক বিশ্বজিৎ সহ তিনজন আহত হন।

 

২৮ জুলাই ২০২৩ , শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার রাধানগরের দাসপাড়ায় অবস্থিত একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।

 

আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা।  এ সময় সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তার দুই ভাই আনন্দ পাল(২৮) ও শান্ত পাল (২৮)। উপজেলার দেবগ্রামের মাহফুজ ভূঁইয়ার ছেলে সুমন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালানো হয়।

 

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে দেবগ্রামের বাসিন্দা সুমন ভূঁইয়া স্ত্রীসহ ছয় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসকে দেখাতে রাধানগরের দাসপাড়ার দি কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে । ওই ক্লিনিকে থাকা চিকিৎসক কাজী মাজহারুল ইসলামের কাছে শিশু সন্তানকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে যাওয়ার সময় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকা সালমা আক্তার সুমনের কাছে চিকিৎসকের ভিজিটে ফি ৪০০ টাকাচাইলে ক্ষিপ্ত হন সুমন। এক পর্যায়ে সালমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে সুমন। এসময় ক্লিনিকের মালিক আশিষ সাহা এগিয়ে আসলে তার সঙ্গেও খারাপ আচরণ করে। চিকিৎসকের ভিজিট না দিয়েই ক্লিনিকের মালিককে ভয় ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। বিকেলে ছয়টার দিকে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখাতে যান সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল। বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে সুমন ২০-২৫জন লোক নিয়ে ওই ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সালমাকে তুলে নিতে এগিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিক বিশ্বজিৎ বাধা দিলে তার উপরও হামলা চালায়।

সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে শান্ত পাল ও আনন্দ পালকে তারা মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। হামলায় বিশ্বজিৎ মাথা সহ সারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা পৌনে আট টার দিকে িআখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

 

আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ক্লিনিক থেকে একটি মেয়েকে তারা তুলে নিতে আসে। আমি তখন নিজেকে ওই মেয়ের অভিভাবক হিসেবে পরিচয় দেই। তারা আমাকে তখন বলে তুই গার্ডিয়ান, দাঁড়া। এই বলে তারা আমার ওপর হামলা করে। রাধানগর মোড়ে থাকা আমার দুই ভাই ঘটনা শুনে আমাকে বাঁচাতে আসে। তাদের ওপরও সন্ত্রাসী কায়দায় তারা হামলা চালিয়েছে।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি টহল দল বের হয়েছে।

Related Articles

Back to top button