Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

খাগড়াছড়িতে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থীর গুরুতর আহত

 স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি :
খাগড়াছড়িতে সহকারী শিক্ষক বেত্রাঘাতে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।

 

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জেলার মাটিরাঙ্গা পলাশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর নাম সায়মন ইসলাম (৮)। এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক রহিমা আক্তার-কে অভিযুক্ত করা হয়। আহত শিক্ষার্থী সায়মন মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

 

২৪ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট মঞ্জিলা সুলতানা ঝুমা ।

 

মঞ্জিরা সুলতানা ঝুমা মোবাইলে বলেন,আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে সব সময় ন্যায় পরায়নতা,সুশিক্ষা ও সহমর্মিতা গুলো আমরা আশা করি।তারা মানুষ গড়ার কারিগর। সরকার শিক্ষাঙ্গনে বেত নিষিদ্ধ করার পরেও এ রকম বেত্রাঘাত শিক্ষকদের অনুচিত। গতকাল রবিবার রাতে ভুক্তভোগীর অভিভাবক বিষয়টি আমাকে জানান। ঘটনার বিবরণ মুনে খুব খারাপ লাগছিল। তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চিকিৎসা এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন৷ছোট্ট শিশুর প্রতি বেত্রাঘাতে অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মুলক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

 

শিক্ষার্থীর চাচা জাকির হোসাইন জানান,আমার ভাতিজা সায়মন সেদিন বিদ্যালয়ে পড়া সম্পন্ন করতে না পারায় তাকে বেত দিয়ে প্রচুর পিটিয়েছেন সহকারী শিক্ষক রহিমা বেগম। সায়মনের কোমর,হাত ও পিঠে, কোমরে বেত্রাঘাতের প্রচুর জখম হয়েছে।

 

পলাশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তার বলেন, ইতোমধ্যে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, এলাকাবাসী স্কুলে এসেছে। আমরা বিষয়টি আমরাই মীমাংসার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি ।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এই বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখি। এই ঘটনা সম্পর্কে জেনে পরবর্তীতে কি করা যায়,সেটা দেখা যাবে।

Related Articles

Back to top button