Breakingচট্টগ্রাম অঞ্চলসারাদেশ

উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বন্দর নগরীর জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম :
বন্দরনগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে তিন উপদেষ্টার পর এবার চট্টগ্রামে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

 

৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ,শুক্রবার সকালে নগরীর বহদ্দারহাটের বারইপাড়া ও ষোলশহরের সুন্নিয়া মাদরাসা খাল খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন খাল খননের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

 

আগামী বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা কেমন হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত অনেক বছর নদী-নালা, খাল ও শহরের ভেতর যে জলাবদ্ধতা এসবের কোনো খোঁজ করা হয়নি। ব্যাপক অভিযোগ ছিল। জনগণের জন্য যেসব কাজ করা দরকার ছিল সেসব হয়নি। প্রত্যেক বছর চট্টগ্রাম পানির নিচে চলে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি শহরের ভেতরে যতগুলো নালা ও সমুদ্র, নদীতে পানি যাওয়ার প্রবাহ সেগুলো চালু করার।’

 

আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘এগুলো কিন্তু রাতারাতি হয়ে যাবে না। কাজটি আমরা শুরু করলাম। কাজটি এগিয়ে যাবে, যাতে এবারের বর্ষায় আমরা যতটুকু পারি জলাবদ্ধতা কমিয়ে আনতে পারি। এ বর্ষার পরেরটাতে যাতে পানি চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়, সেজন্য আমরা কাজ করছি। এ বর্ষায় যেন আগের অবস্থার মতো না হয় এবং জলাবদ্ধতা কম হয় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।’

 

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এর আগে আরও তিনজন উপদেষ্টা জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসেছিলেন। আমরা সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করলে নগরবাসীকে এ জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই দিতে পারব বলে আশা করছি। আগে সমন্বয় ছিল না। এখন আমরা সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে কাজ করছি। আশা করছি, একটি রেজাল্ট পাব। হয়তো এ মৌসুমে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ফলাফল পাব। ১০০ শতাংশ রেজাল্ট পেতে আরও এক বছর সময় লাগবে।’

এসময় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিন, সিডিএর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম সহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Back to top button