Breakingচট্টগ্রাম অঞ্চলপার্বত্য অঞ্চলরাঙ্গামাটিসারাদেশ

রাঙ্গামাটির বৈজয়ন্ত বন বিহারে ২২তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত

চেঙ্গী দর্পন ,স্টাফ রিপোর্টার, রাঙ্গামাটি :
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে নানা আনুষ্ঠানিকতায় রাঙ্গামাটির ঘাগড়া বৈজয়ন্ত বন বিহারে ২২তম দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান ভিক্ষু সংঘকে চীবর উৎসর্গের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে।

 

অনুষ্ঠান মঞ্চে উপবিষ্ট পূজনীয় ভিক্ষু সংঘকে ফুলের তোরা দিয়ে বরণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান মালার মধ্যে পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্টশীল গ্রহণ, বুদ্ধপুজা, বুদ্ধমূর্তি দান, অষ্টপরিষ্কার দান, সংঘদান, হাজার প্রদীপ দান, কঠিন চীবর দান, কল্প তরু দান ও নানাবিধ দান উৎসর্গ করা হয়।

ভিক্ষু সংঘকে চীবর উৎসর্গ করেন প্রধান পুণ্যার্থী রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী ও ২ দিন ব্যাপী তৈরী কৃত চীবর উৎসর্গ করেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ মনি চাকমা, বিহার পরিচালনা কমিটির সদস্য বিপুল চাকমা।

পুণ্যার্থীদের উদ্দ্যেশে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও শিষ্য সংঘের প্রধান প্রজ্ঞা লংকার মহা স্থবির। কাটাছড়ি বন বিহারের বিহার অধ্যক্ষ চন্দ্রগুপ্ত মহাথের, বৈজয়ন্ত বন বিহারের অধ্যক্ষ শীমৎ শীলদর্শী স্থবির, জুরাছড়ি বেনুবন অরণ্য কুঠিরের অধ্যক্ষ পন্থক মহাস্থবির প্রমূখ।

 

সোমবার ৩১ অক্টোবর বিহার পরিচালনা কমিটি ও দায়ক-দায়িকাদের আয়োজনে সকাল থেকে শুরু হয়ে চলে দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব। এতে দানোৎসবকে ঘিরে দূর-দূরান্ত থেকে পুণ্য সঞ্চয় করার জন্য শত শত পুণ্যার্থীরা বিহারে সমবেত হয়।

এ সময় ভিক্ষুরা বলেন, দানর রাজা কঠিন চীবর দান, জ্ঞান, বুদ্ধি, কৌশল, সত্য না থাকলে মানুষের উন্নতি হয় না। সে জন্যে পরম পূজ্য বনভান্তে জীবিত থাকাকালীন বলেছিলেন জ্ঞান, বুদ্ধি থাকতে হবে এবং পন্ডিত, জ্ঞানী, শীলবান হও। যত বেশি পুণ্য কাজ করবেন তত বেশি নির্বানের পথ সুগম হবে। তা পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

Related Articles

Back to top button