Breakingঅপরাধপার্বত্য অঞ্চলবান্দরবানসারাদেশ

নাইক্ষ্যংছড়ির লংগদুর মূখ থেকে কৃষককে অপহরণ

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, নাইক্ষ্যংছড়ি ,বান্দরবান : পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের লংগদুর মূখ থেকে এক কৃষককে অপহরণ করেছে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা।

২৮ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

অপহৃতের নাম নূর আহমদ (৪০)। তিনি বাঁকখালী মৌজার কালা চাঁদ বাপের চর এলাকার মৃত নাদেরুজ্জামানের পুত্র।

জানা যায়, নূর আহাম্মদ নিজ বাড়ীতে পরিবার পরিজন নিয়ে রাতে ঘুমাছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে মূখোশধারী কিছু লোক এসে দরজার কড়া নাড়তে থাকলে পরিবারের সবার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন দরজা খুলে দিলে নূর আহম্মদকে অপহরণের স্টাইলে নিয়ে যায়। এ সময় পরিবারের সবাই আতংকে চিৎকার করতে গেলে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়।
অপহরণ ঘটনার পর থেকেই আতংকে দিন কাটাচ্ছে নূর আহম্মদের পরিবার।

দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আমি সকালে অপহরন ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনর্চাজকে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছি । পাশাপাশি কর্মরত গোয়েন্দাদেরকেও অবহিত করেছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এ প্রতিবেদককে জানান, আমি নিয়মিত ধান ক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে

বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩ টা বা ৪ টার দিকে ৮/১০ জন মূখোশধারী হাফপ্যান্ট পরা লোক দেখতে পাই। তাদের হাতে ছিল অস্ত্র । অপহৃত নূর আহাম্মদের বাড়ী চারপাশে ঘেরাও করে দরজার কড়া নাড়তে থাকলে তখন নূর আহাম্মদ দরজা খুলে দিলে দুই-তিন ঘরে ডুকে তাকে চোখ বেঁধে এবং অস্ত্র তাক করে নিয়ে যায়।

পরিবার থেকে জানান, মূখোশধারী কিছু লোক নূর আহাম্মেদকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সবাই চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলাবলি করলেও তাদের মধ্যে এক জন সাধু ভাষায় কথা বলতে শুনা যায়।

অপহরণ ঘটনার কথা স্বীকার করে থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা বলেন,তিনি অভিযোগ পেয়ে অপহৃতকে উদ্ধারে
অভিযানে নেমেছেন। তার টিম জোর চেষ্ঠা চালাচ্ছে তাকে মুক্ত করতে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে অপহৃত নুর আহমদের ভাই ফরিদুল ইসলামকেও এ বাড়ি থেকে একি কায়দায় অপহরণ করেছিল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা । সে সময় ৭৫ হাজার টাকা মূক্তিপণে মূক্ত করা হয়েছিল।

Related Articles

Back to top button