Breakingচট্টগ্রাম অঞ্চলসারাদেশ

চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ সভাপতির মুক্তি ও হোল্ডিং ট্যাক্স আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি নুরুল আবছারের মুক্তি ও হোল্ডিং ট্যাক্স আইন বাতিলের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আগামী ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন করদাতা সুরক্ষা পরিষদ নেতৃবৃন্দ। তা নাহলে চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের কার্যালয় ঘেরাও করে দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে বলে ঘোষনা দেন তারা।

 

পাড়া-মহল্লায় কেবল একটাই শ্লোগান হবে “করের কথা পরে হবে মেয়রকে যেতে হবে”। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর কদমতলীতে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের প্রতিবাদী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে এসব দাবি ও কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়।

 

চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন , সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি, সাবেক কাউন্সিলর এম এ মালেক, সুরক্ষার অন্যতম নেতা মীর মোহাম্মদ ইসলাম, কাজী শহীদুল ইসলাম স্বপন, ইসমাইল হোসেন মনু, হাজী হারুনুর রশিদ, হাজী মফিজুর রহমান, বিশিষ্ট সংগঠক অ্যরশাদ হোসেন, নজরুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন জাফর ও সোহেল আহমদ প্রমুখ।

 

সংগঠনের সাধারন সম্পাদক চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন বলেন বাড়ি ভাড়ার ভিত্তিতে নজীর বিহীন হোল্ডিং ট্যাক্স আরোপ করে কর্পোরেশন ইতিমধ্যে নগরবাসীর কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আর এসব ঘুষ-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আমাদের সভাপতি কারারুদ্ধ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নুরুল আবছার কে মুক্তি দিতে হবে এবং অন্যায্য হোল্ডিং ট্যাক্স আইন বাতিল করতে হবে। তা না হলে চট্রগ্রামবাসি মেয়রকে ঘেরাও করে দাবী আদায়ে বাধ্য করবে। তখন পাড়া-মহল্লায় কেবল একটাই শ্লোগান হবে “করের কথা পরে হবে মেয়রকে যেতে হবে”। তিনি আগামী পনের দিন পাড়া-মহল্লা ও আবাসিক এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

 

সভায় সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি বলেন, চট্রগ্রামের অন্যতম নাগরিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্পোরেশন আজ ঘুষ-দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জমান। মশার উৎপাতে সন্ধ্যার পর বসা যায় না, ড্রেনগুলো আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এসব নাগরিক সমস্যা সমাধান না করে মেয়র ষড়যন্ত্রমুলক মামলা করে আবছার ভাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা অবিলম্বে আবছার ভাইয়ের মুক্তি চাই-তা না হলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

আরেক সাবেক কাউন্সিলর এম, এ, মালেক বলেন, ৭০ লক্ষ চাটগাঁবাসির দাবি আদায়ে রাজপথে নামার কারণে নুরুল আবছার আজ কারাগারে। এর মধ্য দিয়ে আবছার আজ চট্রগ্রামবাসির বুকে ঠাঁই করে নিয়েছেন অন্যদিকে মেয়রের জনপ্রিয়তা হারিয়ে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। সভা শেষে একটি মিছিল সমাবেশস্থল থেকে নিউমার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

Related Articles

Back to top button