Breakingঅপরাধপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

ভূমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রামগড় ভূমি রক্ষা কমিটির সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি :
খাগড়াছড়ির রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু নির্মাণ পরবর্তী স্থলবন্দরের জন্য সড়ক প্রশস্ত করণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাতের লক্ষে ভুয়া দলিল বানানোর সাথে জড়িত ভূমি দস্যুদের শাস্তি ও ভুয়া দলিল বাতিলের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

 

২৮ আগষ্ট ২০২৩ সোমবার সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব হলরুমে রামগড় ভূমি রক্ষা কমিটির ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের এ দাবি জানানো হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে অবিলম্বে ভুয়া দলিল বাতিল করে প্রকৃত মালিকদের অধিগ্রহণের টাকা পরিশোধ ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ভূমি অফিসের কতিপয় দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজসে ভূমি দস্যুরা কয়েকশত মানুষের ভূমির জাল দলিলপত্র,হোল্ডিং, খতিয়ান, দাগ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজন করে সরকারের অধিগ্রহনের টাকা আত্মসাতের পায়তারা করছে। ভূমি দস্যুদের এ পায়তারা থেকে এলাকার মুসলিম, হিন্দু, খৃষ্টান ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও বাদ যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, শত বছর থেকে বংশানুক্রমে বিরোধমুক্তভাবে বাড়ীঘর দোকাটপাট তৈরী করে ভোগ দখল করার সম্পত্তি সাবেক জেলা কানুগো দেলোয়ার,সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলম ও মৌজা প্রধান মংশে প্রু চৌধুরীর সহায়তায় ভুমি দস্যু মোস্তফা-নবী গং জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহনের অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করছে। ভুমির প্রকৃত মালিকদের নানাভাবে হয়রানী করছে।

 

ক্ষতিগ্রস্থ ভূমির মালিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মে মাসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শুনানীতে ভূমি দস্যুদের দলিল ভূয়া প্রমাণিত হয়। কিন্তু ৩ মাসের বেশী সময় অতিবাহিত হলেও ভুয়া দলিল বাতিল কিংবা কোন আদেশ দেয়া হয়নি। একটি প্রভাবশালী মহল এ ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রামগড় ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি শের আলী ভূইয়া, রামগড় পৌর সভার কাউন্সিলর মো. কাশেম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ভূমির মালিক মুজিবুর রহমান,সায়মন হাওলাদার, দেলোয়ার হোসেন, প্রফেসর ফারুক উর রহমান ।

Related Articles

Back to top button