Breakingখাগড়াছড়িচট্টগ্রাম অঞ্চলজাতীয়পার্বত্য অঞ্চলশীর্ষ সংবাদসারাদেশ

নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শন

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,রামগড় , খাগড়াছড়ি : আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। শুধু ব্যাবসা বাণিজ্য নয় ভারতের সাথে আমাদের আন্তরিকতার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এঅঞ্চলের জনগোষ্ঠির সাথে ভারতের ত্রিপুরার মানুষ আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে পাশে ছিলো। রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ব্যবসা-বানিজ্যের উন্নয়ন সহ দুই দেশের পারস্পরিক বন্ধন আরো সুদৃড় হবে সাংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে। বলেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। তিনি আজ খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের ত্রিপুরার সাথে স্থলবন্দর চালুর লক্ষে অধিগৃহীত ভূমি, নির্মানাধীন অবকাঠামো ও মৈত্রীসেতু পরিদর্শনে এসে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

আজ সোমবার (১৪ফেব্রুয়ারি ) দুপুর ১২টায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষেরর চেয়ারম্যান রামগড় পৌছালে রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল ও বন্দর কতৃপক্ষ তাদের স্বাগত জানান।পরে তারা বন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থানের জমি অধিগ্রহণ ও বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। পরে মৈত্রী সেতু সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় এবং প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দ দের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রকল্প-১ প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো: সরোয়ার আলম।

মন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো বলেন, রামগড় -সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন চালু করার ব্যাপারে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।আলোচনা ফলপ্রসূ হলে শুরুতে রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন চালু হবে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো: আলমগীর জানান, রামগড় স্থল বন্দর কে কেন্দ্র করে পুরো চট্টগ্রামের দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। বন্দর কে কেন্দ্র করে সড়ক সংস্কার হতে শুরে করে একাধিক বড় প্রকল্পের সেতু নির্মান হচ্ছে। রামগড় এ বন্দর স্থানীয় মানুষদের জীবনযাত্রার মান অভাবনীয় পরিবর্তন হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল আনোয়ারুল মাজহার, প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব সরোয়ার আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মো: ইখতেয়ার উদ্দীন আরাফাত, রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল, রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন ও রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামন সহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, রামগড়ে স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে রামগড়ের মহামনি সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ গত বছরের ৯ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চ্যুয়ালি এর উদ্বোধন করেন।ভারতের অর্থায়নে ১১০ কোটি টাকা ব্যায়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে এবছরের ১০ই জানুয়ারি ১২৫ কোটি টাকা ব্যায় নির্ধারণ করা হয়। বন্দর এলাকার জন্যে প্রথমে ১০ একর পরে আরো ১৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয় । অধিগ্রহনকৃত ভূমিতে প্রয়োজনিয় অবকাঠামো নির্মাণে ২০২৪ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ বুঝিয়ে দিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেড কে দায়িত্ব দেয় স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

Related Articles

Back to top button