মিরসরাইয়ে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ; আহত ৩০
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, মিরসরাই , চট্টগ্রাম :
আগামী ৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আওয়ামীলীগের সমাবেশকে ঘিরে একটি প্রস্তুতি সভায় দু’গ্রুপের হামলায় ৩০ জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ,মঙ্গলবার উপজেলার সুফিয়া রোডস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গিয়াস উদ্দিন তার অনুসারীদের নিয়ে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। একই সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মিরসরাই সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম দিদার এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ করিম রানার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা গিয়ে তাতে বাধা দেয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ বাধে । গিয়াস সমর্থিত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
আহতরা হলেন, আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আনোয়ার সবুজ (৫৫), সাবেক কমিশনার রহিমুল্লাহ (৫২), মহিলা আওয়ামীলীগ কর্মী ভবি, যুবলীগকর্মী সাইফুল (৪৫), কামরুল ইসলাম (৩৩), সরোয়ার (৩৫), মো. পলাশ (৩০), সেলিম (৪৫), ছাত্রলীগকর্মী হৃদয় (২৫), রনী (২৮), হাসান (২৬), গুরুতর আহত কামরুল ইসলাম, মো. পলাশ, মো. সবুজ, হৃদয়, হাসান ও ভবিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আওয়ামীলীগ নেতা মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আগামী ৬ অক্টোবর মিরসরাইয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ ঘোষিত জনসভা সফল করার জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের সুফিয়া রোডস্থ নুরজাহান কমিউনিটি সেন্টারে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করি। যেখানে ৫ শতাধিক আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী অংশ নেয়। সভা চলাকালে মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সমর্থক মিরসরাই সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম দিদার এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ করিম রানার নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী রামদা, লাঠি নিয়ে গিয়ে সমাবেশ বন্ধ করতে বলে। এ সময় আমরা সভা চালিয়ে যেতে চাইলে তারা নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায় এবং কমিউনিটি সেন্টারেও ভাংচুর করে। এতে আমার ৩০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।আহতদের উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর ১০জনকে চমেক ভর্তি করানো হয়েছে।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে প্রার্থী হবো তাই বর্তমান সংসদ সদস্যের নির্দেশে তার অনুসারীরা বাধা ও হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। আহতদের চিকিৎসা শেষে আমি আইনি পদক্ষেপ নেবো।
মিরসরাইয়ের ৯নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুল আলম দিদার জানান, আগামী ৬ অক্টোবরের জনসভা সফল করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির নির্দেশে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে বর্ধিত সভা করা হচ্ছে। গিয়াস উদ্দিন দলীয়ভাবে কর্মসূচীতে অংশ না নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আলাদা কর্মসূচী পালন করছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে বাদ দিয়ে কোন অনুষ্ঠান না করতে তাদের আমরা নিষেধ করেছি। তাদের উপর কারা কেন হামলা করেছে তা আমি জানি না।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের সমাবেশে দু’গ্রুপের হামলার খবর শুনে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।