সীমান্ত পরিস্থিতি, অভিযান ও জব্দকৃত পণ্য নিয়ে ৩ বিজিবি-র প্রেস ব্রিফিং

স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি:
চট্টগ্রাম রিজিয়নের দায়িত্বপূর্ণ ৫৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত জুড়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পরিচালিত টানা অভিযানে চলতি মাসেই জব্দ হয়েছে ৬ কোটি ৩১ লাখ টাকারও বেশি অবৈধ ও চোরা চালানী পণ্য। সীমান্তে কঠোর টহল, নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্যের সমন্বয়ে এই সফলতা এসেছে বলে জানিয়েছেন ৩ বিজিবি -র পানছড়ি লোগাং জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম (পিপিএম)।
২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার সকালে লোগাং জোন সদর দপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি সীমান্ত পরিস্থিতি, অভিযান ও জব্দকৃত পণ্যের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৩ বিজিবি পানছড়ি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মতিন, ক্যাপ্টেন নাইমুল মুশফিক সহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রবিউল ইসলাম জানান, “মাদক যুব সমাজকে ধ্বংস করছে-এ জন্য বিজিবি সীমান্তে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখেই অভিযান পরিচালনা করছে।”চলতি মাসে শুধু মাদক বিরোধী অভিযানেই জব্দ করা হয়েছে, ৪৭৭ বোতল বিদেশি মদ, ৪২৯ পিস ইয়াবা, ৩৮৮ কেজি গাঁজা , ২০০ বোতল বিয়ার, ৫২০ পিস বাংলা মদ তৈরির ট্যাবলেট। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় বিজিবির এ অভিযান আরও কঠোর হবে।
সীমান্তে গবাদিপশু পাচার রোধে বিজিবির তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। চলতি মাসেই আটক করা হয়েছে-৫০১টি গরু, ৩৬টি ছাগল।পরে এগুলো সরকারি নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে রাজস্ব খাতে জমা দেওয়া হয়।
বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত অভিযান থেকে আরও যেসব পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি—১৯,৩১,২৯৩ ঘনফুট কাঠ, ৩,২১০ প্যাকেট বিদেশি সিগারেট,১১,৫১,২০০ পিস সিগারেট ফিল্টার, ৯২০ কেজি রাবার, ৯৫টি শাড়ি, ১,৭৮৫ প্যাকেট আতশবাজি, ৩০৮ লিটার কীটনাশক, ১৫ কেজি জিরা।সহ বিভিন্ন কসমেটিকস সামগ্রী,যেমন-৪,৫০০ ভারতীয় রুপি,১৭টি বিভিন্ন প্রকার যানবাহন। সব মিলিয়ে জব্দকৃত মালামালের বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার বেশি, যা চলতি মাসে বিজিবির অন্যতম বড় সাফল্য।
জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল রবিউল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, “সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক প্রতিরোধ ও চোরাচালান দমনে বিজিবি সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দেশের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। ভবিষ্যতেও এ অভিযান আরও জোরদার করা হবে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, পাচার ও মাদক দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সবসময় জনগণের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
চট্টগ্রাম রিজিয়নের সীমান্ত এলাকায় বিজিবির এসব সফল অভিযান শুধু চোরাচালান প্রতিরোধই নয়, বরং সীমান্ত নিরাপত্তা ও এলাকার স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।




