Breakingপার্বত্য অঞ্চলবান্দরবানসারাদেশ

পাহাড়ে সব সম্প্রদায় মঙ্গলের গঙ্গা পূজা ও গঙ্গামায়ের স্নান

স্টাফ রিপোর্টার, থানচি, বান্দরবান :
সনাতন ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যে  পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের সহ অবস্থানের শান্তিতে বসবাসের উপযোগী এবং  অর্থনিতি, ক্ষুদ্র ব্যবসা, জুমচাষীদের আয়ের উৎসব বাড়ানো লক্ষ্যে সকল জাতি  ধর্ম নির্বশেষে  স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহনের একটি অসম্প্র দায়িকতা মনোভাবে উপজেলাবাসীদের সফল আয়, জুমে ফসল উন্নতি, ব্যবসা বানিজ্য সাফল্যের লক্ষ্যে শংঙ্খ নদী তীরের প্রতি বছরের ন্যায় তিন দিন ব্যাপী (০৩/০৪/০৫ মার্চ ২০২৫) ১৮ তম বর্ষ সর্বজনীন  মহান গংঙ্গা পূজা ও গঙ্গাস্নানের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।

 

উপজেলা কালীমন্দির কমিটির সভাপতি পলাশ কর্মকার বলেন, সনাতন সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী গঙ্গা মায়ের পূজা ও গঙ্গা স্নান। এ বছরে নানা আয়োজনে  উৎসব মূখর পরিবশের মহা শোভাযাত্রা প্রদক্ষিণ, গোধুলি লগ্নে গঙ্গা পূজার শুভাধিবাস, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ধর্মীয় কীর্তন, গঙ্গা মায়ের পবিত্র স্নান ও সন্ধ্যা আরতি এবং মহা অন্ন প্রসাদ সহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি ও প্রতিমা নিরঞ্জন অনুষ্ঠানের ব্যাপক আয়োজন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের  লিফলেট ছাপা, প্রচার -প্রচারনা, নিমন্ত্রণ কার্ড বিতরন, পূজা মন্ডব পেন্ডেল নির্মান,প্রতিমা প্রস্তুত সহ কেনা কাটা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

 

সর্বজনীন শ্রী শ্রী মহান গঙ্গা পূজা ও গঙ্গাস্নান উদযাপনের একটি পরিচালনা কমিটির সভাপতি টিটু বিশ্বাস বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও পাহাড়ে বসবাসরত বাংঙালি, মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, বম, খিয়ান সহ সকল জাতি সম্প্রদায় হাজার হাজার নর- নারী পূর্নার্থী  উপস্থিত হয়।তাদের নিরাপদ অবস্থান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন চলছে।

 

শংঙ্খ নদীর তীরে গঙ্গা পুজা ও গঙ্গা স্নান চলতি বছরে ১৮ তম এর আগেই ২০০৮ সালে এ পুজা করার পর থেকে থানচি উপজেলা সকল জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ক্ষুদ্র ব্যবসা, কৃষি,জুমের ফসল উৎপাদন ও আয়ের উৎস খুবই ভালো হয়েছে।অর্থনিতীতে সাফল্য সহ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে বলে আয়োজকরা দাবী করেন। এ পুজা সমাজের বরন্য নেতৃবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশিল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত থাকবে এছাড়াও সমতলে বসবাসরত অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষ স্বতস্ফুর্ত অংশ গ্রহন করবেন বলে আয়োজকরা দাবী করেন।

Related Articles

Back to top button