পাহাড়ি-বাঙ্গালী আমরা সবাই বাংলাদেশী, সবাই মিলেমিশে এদেশে বসবাস করবে ; ওয়াদুদ ভূইয়া
স্টাফ রিপোর্টার,খাগড়াছড়ি :
এই পাহাড়ে জাতিগত বিভেদ ও হানাহানি করে কখনো শান্তি ফিরে আসবেনা। পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে,মারামারি করে আমরা কেউ এই পাহাড় ছেড়ে চলে যায় নি,ভবিষ্যতেও যাবেনা। কেউ পাহাড় থেকে চলে যাওয়ার সুযোগ নাই। বরং এসব বিভেদ ও হানাহানি আমাদেরকে আরও ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়। সকল অবিশ্বাস ও বিভেদ ভুলে মিলেমিশে থাকতে হবে।আমাদের সবাইকে এখানেই চিরদিন থাকতে হবে। তাই সকল সম্প্রদায়কে সম্প্রীতি- বন্ধুত্ব, বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করে পাহাড়ে বসবাস করতে হবে। এদেশের পাহাড়ি-বাঙ্গালী আমরা সবাই বাংলাদেশী,জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশী। সবাই মিলেমিশে বসবাস করবে। সকল সংঘাত ও বিভাজন ভুলে এই পাহাড়ে পাহাড়ি-বাঙ্গালি সবাই একসাথে মিলেমিশে বসবাস করতে হবে । পাহাড়ি-বাঙ্গালি সবাইকে শান্তি,সম্প্রীতি,আস্থা-বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
১৭ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার বিকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় থানা বাজার মাঠে সম্প্রীতি সমাবেশে এসব কথা বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া। এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দীঘিনালা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক।
এদিন দুপুর থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন বিএনপি’র অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা,সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার,জেলা বিএনপি’র প্রধান উপদেষ্টা জাকিয়া জিনাত বিথী, যুগ্ম-সম্পাদক এড: মালেক মিন্টু, মোশারফ হোসেন, অনিমেষ চাকমা রিংকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ রব রাজা, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ, জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা মাসুদ রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নোমান সাগর, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক-জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রমুখ।
সমাবেশে যোগ দেয়ার পূর্বে দীঘিনালায় রাসলীলা উৎসব পরিদর্শন ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া।