চাঁদাবাজিতেই ব্যস্ত থাকে ফটিকছড়ির হাইওয়ে পুলিশ
ফ্যাক্ট : ফটিকছড়ি- নাজিরহাট হাইওয়ে

স্টাফ রিপোর্টার, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বাস, ট্রাক, মাইক্রো, সিএনজি নছিমন, করিমন সহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখার নাম করে এসব চাঁদাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ চালকদের।
এছাড়া হাইওয়ে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী দূরপাল্লার পরিবহনের সাথে রয়েছে হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ চুক্তি। তবে যেসব গাড়ি চুক্তির আওতায় নেই সেই সব গাড়িগুলো আটক করে মামলা দেয়া যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে।
এ সড়কে চলাচলকারী একাধিক বাস চালক জানান, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের পেলাকাজি দিঘী,চামার দিঘী,বাঘমারা পুকুর, ডলু নয়া বাজার, সরকারহাটসহ একাধিক স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে প্রতিনিয়ত গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করে হাইওয়ে পুলিশ।
যানজট নিরসন,মহাসড়কে ডাকাতি ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশের নির্দিষ্ট দায়িত্ব থাকলেও দিনের অধিকাংশ সময় তারা ব্যস্ত থাকে চাঁদাবাজিতে।
সম্প্রতি সরেজমিন চট্টগ্রাম- খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগমারা পুকুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পোশাক পরা অবস্থায় হাইওয়ে পুলিশের একটি টীম মুল সড়কের উপর অবস্থান নিয়েছে। এ সময় একটি ট্রাক থামিয়ে চালক থেকে চাঁদা নিচ্ছে একজন কনেস্টেবল। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে দ্রুত সটকে পড়েন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।
এ সময়।মোবারক নামে এক ট্রাক চালক বলেন, গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকলেও চা নাস্তা খাওয়ার কথা বলে চাঁদা দাবী করে হাইওয়ে পুলিশ। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। মামলার ভয়ে বাধ্য হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়।
নুরুল ইসলাম নামের এক অটোরিকশা চালক জানান, আমরা গরীব মানুষ। অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করি বলে হাইওয়ে পুলিশকে প্রতিমাসে চাঁদা দিতে হয়।টাকা না দিলে গাড়ি আটক করে মামলার ভয় দেখায়।
এ বিষয়ে ফটিকছড়ি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবু এখলাস ঝিনুক বলেন, নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চালক ও সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। তারা যানজট নিরসনের দায়িত্ব পালন না করে মহা সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাড়ির কাগজপত্র চেক করার নামে হয়রানি করে।
অন্যদিকে, মহাসড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান নাজিরহাট ঝংকার মোড় ও বিবিরহাট বাস স্টেশনে প্রতিনিয়ত যানজটে নাকাল থাকলেও হাইওয়ে পুলিশের কার্যকরী ভূমিকা চোখে।পড়েনা।
জানতে চাইলে নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি মো. শাহাবুদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দায়িত্ব পালনে আমরা সময় সচেষ্ট। দায়িত্ব পালনকালে হাইওয়ে পুলিশের কারো বিরুদ্ধে যদি চাঁদাবাজির প্রমান পাই, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।