ফটিকছড়ির কয়লা খালে কাঠের সেতু নির্মাণ
দুই উপজেলার সেতু বন্ধন
মুহাম্মদ দৌলত,ফটিকছড়ি ,চট্টগ্রাম :
পাশাপাশি দুটি উপজেলা ফটিকছড়ি ও মীরসরাই। দুই উপজেলাকে বিভক্ত করে রেখেছে বড় একটি খাল। স্থানীয়দের কাছে এটি কয়লা খাল নামে পরিচিত। খালের এপারে ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়ন। ওপারে মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ। নৌকাই হলো দুই জনপদের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। পারাপারে শুষ্ক মৌসুমে যেন তেন হলেও বর্ষায় কষ্টের সীমা থাকেনা বাসিন্দাদের। বিশেষ করে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় স্কুল কলেজ মাদ্রাসা গামী শিক্ষার্থীদের।
এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী স্থানীয় কয়লা খালের জিলতলী এলাকায় একটি সেতু নির্মানের। এ জন্য স্থানীয়রা বিগত দুই দশক ধরে সরকারী -বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিলেও আলোর মূখ দেখেনি। সম্প্রতি ব্যাক্তিগত উদ্যেগে সেতু নির্মানে এগিয়ে এসেছেন দাঁতমারার বাসিন্দা, তরুণ শিল্পোদ্যোগতা মেহেদী হাসান বিপ্লব।
১৫ জানুয়ারী ২০২৩ রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, দাঁতমারা ইউনিয়নের জিলতলী বাজার সংলগ্ন এলাকায় ৬০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতু তৈরী করা হয়েছে। কাঠ দিয়ে তৈরী এ সেতু দিয়ে মানুষজন ছাড়াও তিন চাকার বাহন অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে। এদিকে,দীর্ঘদিন পর কয়লা খালের উপর সেতু নির্মিত হওয়ায় দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এক প্রকার উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। অনেকে সেতু নির্মাণকে দুই উপজেলার সেতু বন্ধন হিসেবে দেখছেন।
১৪ জানুয়ারী শনিবার বিকালে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন মেহেদী হাসান । এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসানের মন্তব্য জানতে চাইলে বলেন কিছুদিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি কয়লা খালে একটি সেতুর অভাবে এলাকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এরপর স্থানীয় কয়েক জনের সাথে কথা বলে সেতু নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করি।