Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলশিক্ষা / চিকিৎসাসারাদেশ

মায়ের লাশ ঘরে রেখে পরীক্ষা দিতে যাওয়া সুমাইয়া জিপিএ-৪.০৬ পেলো

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক: মায়ের লাশ ঘরে রেখে পরীক্ষা দিতে যাওয়া সুমাইয়া আক্তার এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ- ৪.০৬ পেয়েছে।

 

 

মেয়েটির বাবা রফিকুল ইসলাম এই ফলাফলে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় বলেন, তার মা মরা মেয়েটি অনেক বাধা বিপত্তির মাঝেও পাশ করায় খুব আনন্দিত।তার মা বেচে থাকলে আরো বেশী খুশি হতো। সে দিন তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমে মারা যাওয়ায় সে শোকে মুহ্যমান ছিলো । তার দাফন কাফনের আয়োজন করছিলেন। ওসি পিতার আদরে এস এস সি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার কে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় নিজের গাড়িতে করে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫ মিনিট পর কেন্দ্রে নিয়ে পরীক্ষার দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আমি তার নিকট কৃতজ্ঞ।

সুমাইয়া আক্তার

পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনচারুল করিম বলেন, একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীর মা মারা যাওয়ায় পরীক্ষা দিচ্ছেনা এমন খবরে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে তাকে সান্তনা দিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করাই। পুলিশ সেবার জন্য । আমিও সেবা দিয়েছি। মেয়েটি এসএসসিতে জিপিএ -৪.০৬ পেয়েছে শুনে আমি আনন্দিত। পরবর্তী জীবন আরো সুস্দর হোক সেই ই আশাই করি।

পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলি আহাম্মদ বলেন, সুমাইয়া বানিজ্য বিভাগের মেধাবী ছাত্রী ছিলো। মা মরা যাওয়ায় তার পরীক্ষা বাধা গ্রস্থ হয়। তবুও সে জিপিএ-৪.০৬ পেয়ে পাশ করেছে। তার ভবিষ্যৎ আরো উজ্জল কামনা করছি।

 

উল্ল্যেখ্য , গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার মরণঘাতি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা মা ফাতেমা বেগমের মৃত্যুর সংবাদে অজ্ঞান হয়ে পড়ে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার। পরিবারের লোকজন উপায় না পেয়ে তাকে পানছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেবা শ্রুশ্রুষা ও জ্ঞান ফিরাতে চিকিৎসা চলে। অবশেষে সেখান থেকেই পানছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনচারুল করিমের একান্ত চেষ্টায় বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষা অংশ গ্রহন করে।

Related Articles

Back to top button