Breakingঅপরাধখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলশীর্ষ সংবাদ

পানছড়িতে চেঙ্গী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

হুমকির মুখে শতাধিক বাড়ি ও রাবার ড্যাম

স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি : জেলার চেঙ্গী নদীতে প্রশাসনের সামনে ও আড়ালে অবাধে বালু দস্যুদের বালু উত্তোলনে নদীর দুপাশের শতাধিক বসতবাড়ি ও রাবার ড্যাম হুমকির মুখে পরেছে।

অভিযোগে জানা যায়, পানছড়ি উপজেলার করল্যাছড়ি,লোগাং ব্রীজ পাড়,পূজগাং,মোল্লাপাড়া, লতিবান , রাবার ড্যাম, নালকাটা,কংচাইরী পাড়া, ভাইবোনছড়া সহ চেঙ্গী নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করতে দেখা যায়।


ভুক্তভোগীরা জানায়, দলীয় প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে।এতে চেঙ্গী নদীর দু’পারের কয়েকশ পরিবার নদীর পাড় ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে। এছাড়াও রাবার ড্যাম স্থাপনার ব্লক ভেঙ্গে হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয় লতিবান ও উল্টাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কিরন ত্রিপুরা ও বিজয় চাকমা জানান, উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে জানতে পারলাম, নদী উন্নয়ন নামে সরকার রীপ এন্টারপ্রাইজ কে নদীর তলদেশ সমান ও নদীপাড়ের মাটি ভরাট করার কাজ দিয়েছেন। অথচ রীপ এন্টার প্রাইজ নিজে কাজটি সঠিক ভাবে না করে এক শ্রেনীর বালু খেকুদের দিয়ে বালু উত্তোলন করে প্রতিদিন শতাদিক ট্রাক বালু অন্যত্র বিক্রি করছে। এতে করে সরকার একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে , অপরদিকে পাহাড়ী নদী গভীরতা বৃদ্ধি পেয়ে দু’পাড়ের মাটি ভেঙ্গে পরছে। এ নিয়ে মৌখিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম কে জানিয়েছি।


পানছড়ি উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা জানান, গত কয়েক বছর বালুমহাল ইজারা না হওয়ায় প্রভাবশালী বালুখেকুরা অবৈধ ভাবে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে সরকারি অনুমোদন না নিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে। বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে প্রভাবশালীরা লাভবান হলেও এলাকার শতাধিক বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস পায় না। এরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় শতাধিক বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মধ্যে রয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নিতে বলেছি।

পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ইতিপুর্বে বালু উত্তোলনের দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Related Articles

Back to top button