খাগড়ছড়িতে পর্যটন মোটেল পরিদর্শনে রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মোঃ আমান হাসান

স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি :
খাগড়াছড়িতে আকষ্মিক পর্যটন মোটেল পরিদর্শন করেছেন, খাগড়াছড়ির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
সোমবার দুপুরে তিনি আকষ্মিক বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত জেলা সদরস্থ পর্যটন মোটেল পরিদর্শন করেন।
এ সময় তাঁরা পর্যটন মোটেলের প্রতিটা কক্ষ ঘুরে দেখেন। মোটেলের চরম অব্যবস্থাপনা দেখে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এসব অব্যবস্থাপনার জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেন। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন একটি বাণিজ্যিক সংস্থা। দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সংস্থাটির অগ্রণী ভূমিকা থাকলেও খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের চরিত্র উল্টো। জেলার বেসরকারি হোটেল-মোটেলগুলো ব্যবসায় লাভ করলেও খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেল গত ৬ মাসে লোকসান গুনেছে ৫০ লাখ টাকা।
স্থানীয়রা বলছেন, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির কারনেই ছন্দ হারিয়েছে খাগড়াছড়ি পর্যটক মোটেল। এক সময়ের নান্দনিক পরিবেশ বান্ধবের পর্যটক মোটেল এখন সৌন্দর্য হারিয়ে থমকে গেছে প্রায়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আশা পর্যটকেরা নান্দনিক পরিবেশ না থাকায় বেসরকারি হোটেল-মোটেল গুলোতে ভীড় জমাচ্ছেন।
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলকে দৃষ্টিনন্দিত ও আকর্ষণীয় করে আগের মতো লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
পরিদর্শনকালে রিজিয়ন কমান্ডার খাগড়াছড়ির বেসরকারি হোটেল-মোটেলগুলো যেখানে ব্যবসায় লাভ করছে সেখানে পর্যটক মোটেল কেন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে তার কারণ জানতে চান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের জিএসও-২ মেজর মো. জাবির সোবহান মিয়াদসহ খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, সহ-সভাপতি জহুরুল আলম,সাধারণ সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল,সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুর আলম সহ আরও অনেকে।