Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

আদালতের মাধ্যমে সিএইচটি রেগুলেশন বাতিলের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে পানছড়িতে অবস্থান ধর্মঘট

স্টাফ রিপোর্টার , খাগড়াছড়ি :
আদালতের মাধ্যমে সিএইচটি রেগুলেশন বাতিলের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে পানছড়িতে অবস্থান ধর্মঘট ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

১০ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় পানছড়ি সচেতন নাগরিক ব্যানারে করেজ গেইট রাস্তায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়।

 

অবস্থান ধর্মঘটে বিভিন্ন শ্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড ‍ব্যানার ” ভূমি বেদখল বন্ধ কর, বেদখলকৃত জমি ফেরত দাও। ”  ” পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন দিতে হবে।”  ” পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধি ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াও” প্রদর্শন করতে দেখা যায়।৪ নং লতিবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভূমি ধর রোয়াজার সভাপতিত্বে ও রুমেল মারমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পানছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিতা ত্রিপুরা, ইউপি চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমা , আনন্দ জয় চাকমা ,উচিত মনি চাকমা, নারী নেত্রী মানেক পুদি চাকমা, কার্বারী এসোশিয়েশানের সভাপতি হেমরঞ্জন চাকমা প্রমুখ।

 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০০৩ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফের আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের একটি বিভাগীয় বেঞ্চ ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে ‘মৃত আইন’ হিসেবে ঘোষণা করেন। পরে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শুনানি শেষে এ আইনকে ‘জীবিত ও বৈধ’ হিসেবে বলবৎ রাখেন। ২০১৮ সালে রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলায় বসতি স্থাপনকারী আব্দুল আজিজ আখন্দ এবং আব্দুর মালেক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন।

 

 

“সাধারণ রীতি অনুসারে সরকারের অনুকূলে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া উক্ত রায়ের পক্ষে বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেলের অবস্থান গ্রহণ করার কথা। কিন্তু তার পরিবর্তে তিনি ‘‘Raja’’, ‘‘Indigenous Peoples’’ শব্দ সহ আরো কিছু শব্দ ও বাক্যাংশ বাদ দেওয়া সহ প্রথাগত আইনের (Customary Law) বিস্তারিত ব্যাখ্যা সম্বলিত সর্বমোট দশটিরও অধিক অনুচ্ছেদ বাদ দেয়ার জন্য আদালতের কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রার্থনা করেছেন।

গত ৯ মে মামলাটি শুনানির তালিকায় আসলে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে আবারও তার পূর্বের আবেদনের ভিত্তিতে ওই আইনে শব্দ, বাক্যাংশ ও অনুচ্ছেদ বাতিল করার জন্য প্রার্থনা করেন”।

 

আমরা পার্বত্যবাসি তা মানি না। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ এর পক্ষে । আদালতের মাধ্যমে সিএইচটি রেগুলেশন বাতিলের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। যার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনমানুষের অধিকার রক্ষিত হয় তার জন্য নির্দেশ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বক্তারা আহবান জানান।

Related Articles

Back to top button