Breakingপার্বত্য অঞ্চলবান্দরবানসারাদেশ

ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠির ভাষা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যেগে স্কুল নির্মাণ

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, আলীকদম , বান্দরবান  :
পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির বিলুপ্ত প্রায় রেংমিটচা ভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী। পাহাড়ে শিক্ষার উন্নয়ন, সেই সাথে রেংমিটচা ভাষা রক্ষায় বান্দরবানের আলী কদমের দুর্গম ক্রাংসি পাড়ায় একটি স্কুল করে দিয়েছে বান্দরবান রিজিয়ন । ওই স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামের পাশাপাশি রেংমিটচা ভাষারও চর্চা হবে।

 

 

১০ মার্চ ২০২৪ রবিবার সকালে বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্কুলটির উদ্বোধন করেন ।

 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে নবাগত রিজিয়ন কমান্ডর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদী হাসান, আলীকদম জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শওকাতুল মোনায়েম ও আলীকদম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিদ রহমান , জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয়রা উপস্থিত থেকে স্কুলটির উদ্বোধন করেন।

 

ইতিমধ্যে দুর্গম ক্রাংসি পাড়ায়বাসীদের জন্য ওয়ালটনের উদ্যোগে পানির ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে দেয়া হয় শিক্ষা সামগ্রী। স্কুলটিতে চারজন শিক্ষক ও ৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে ।

 

উল্লেখ্য , একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পাহাড়ের বিলুপ্তপ্রায় রেংমিটচা ভাষা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে বাংলাদেশ সেনা বাহিনির নজরে আসে । আর এরপরই বিলুপ্তপ্রায় এ ভাষাটি রক্ষায় এগিয়ে আসে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন।

 

 

রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, সেনাবাহিনী পাহাড়ে জনসাধারণের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষা ,স্বাস্থ্য সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে থাকে। আলীকদম উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে দুর্গম ক্রাংসি পাড়ায় রেংমিটচা জাতির বসবাস। বর্তমানে এই জনগোষ্ঠীর মাত্র ৭ জন এ ভাষায় কথা বলে। এদের সবারই বয়স ৬০ বছরের ওপরে। এদের মৃত্যু হলে এ ভাষাটিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এর অংশ হিসেবে দুর্গম এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়ন, সেই সাথে বিলুপ্তপ্রায় একটি ভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।

 

পাহাড়ের ম্রো সম্প্রদায়ের সাথে সংস্কৃতি ও বৈচিত্রে রেংমিটচাদের মিল থাকায় বর্তমানে তাদের ভাষা এখন বিলুপ্তির পথে। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে তথ্য উঠে আসে। ভাষাটি রক্ষায় এখন সেখানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে করে বিলুপ্তপ্রায় এই ভাষাটি রক্ষা পাবে বলে আশা স্থানীয়দের।

Related Articles

Back to top button