Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

“আদিবাসী” শব্দ ব্যবহারের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ ও কুশপুত্তলিকা দাহ

স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি :
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সংবিধানবহির্ভূতভাবে “আদিবাসী” শব্দ ব্যবহারের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে উত্তাল বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

 

পাকুয়াখালী হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে মানববন্ধন:
কর্মসূচির শুরুতে আয়োজকরা ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে উপজাতি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ৩৫ জন বাঙালি পরিবারের পূর্ণবাসন ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন—
পাকুয়াখালী হত্যাযজ্ঞ ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়, অথচ দীর্ঘ ২৮ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও বিচার হয়নি।
অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্তু লারমাসহ দায়ীদের আইনের আওতায় না আনলে পাহাড়ে শান্তি ফিরবে না।

 

‘আদিবাসী’ শব্দ নিয়ে ক্ষোভ
বক্তারা অভিযোগ করেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সংবিধানবহির্ভূতভাবে “আদিবাসী” শব্দ ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তারা দাবি করেন।

 

তারা আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃত। অথচ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভিন্ন ধারার প্রচারণা চালিয়ে রাষ্ট্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

 

কুশপুত্তলিকা দাহ
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভকারীরা শাপলা চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সদস্যদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে কর্মসূচি শেষ করেন।

 

এ সময় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদদের কেন্দ্রীয় কমিটি’র মহাসচিব আলমগীর কবীর, জেলা সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম রানা এবং সদর উপজেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন,পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মো. সুমন আহম্মেদ-সহ আরও অনেকে।

Related Articles

Back to top button