হাটহাজারীতে একজনের পুরুষাঙ্গ ও হাতের কবজি কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের হাট হাজারীতে কুপিয়ে মো. সুমন নামে একজনের পুরুষাঙ্গ ও হাতের কবজি কেটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
১১ জুন ২০২৩ রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কালা বাদশা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত সুমনকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করানো হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়েছে। তার শরীরে দু’দফা অপারেশন করা হয়েছে বলে চিকিৎসক ও স্বজনরা জানিয়েছে। স্থানীয় লাতু মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী মো. মোহসেন ও মোমেন শাহ কালু নামে দুই সন্ত্রাসী সুমনকে কুপিয়ে আহত করে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। সুমনের শরীরে অন্তত শতাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় নারী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- মো. ইকবাল, আবদুল ছালাম ও শিউলি আক্তার। এ ঘটনায় সুমনের বড় ভাই আতাউল গনি লিটন বাদি হয়ে হাটহাজারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নৃশংসভাবে আহত সুমন স্থানীয় সন্ত্রাসী মোহছেন ও মোমেন শাহ কালুর সৎ বোনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। ফলে মোহসেন ও কালুদের কাছ থেকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার হয় সুমন সহ অন্যরা। এছাড়াও কয়েক বছর আগের মোহসেন ও কালুদের এক ভাইকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে আহত করে। এনিয়ে মোহসেন কালুরা সুমনকে সন্দেহ করত। এসব নিয়ে সুমন ও মোহছেন-কালুদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। মোহছেনদের ভয়ে সুমন খাগড়াছড়ি তে চাকুরি করতেন। মা অসুস্থ হওয়ায় রোববার মাকে দেখতে বাড়িতে আসেন। বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজার যাওয়ার সময় রাস্তায় একা পেয়ে মোহছেন ও কালু তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। কোপানোর সময় সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে যাওয়ার সাহস পায়নি। পরে সুমনের বড় ভাই জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চান। পরে হাটহাজারী সার্কেলের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ছালাম ও মোহছিনের ভাই ইকবাল ও তার ভাবী শিউলি আক্তারকে গ্রেফতার করে।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি রুহুল আমিন সবুজ জানান, একজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে ।