Breakingসারাদেশ

সিংগাইরে কালীগঙ্গা নদীর পেটে বাজারসহ বসত বাড়ি

মাসুম বাদশাহ,চেঙ্গী দর্পন প্রতিববেদক  মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম ইউনিয়নের বড়াটিয়া বাজারসহ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে আশ পাশের বেশ কিছু বসতবাড়ি। এ ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কিছু সহযোগিতা পেলেও সরকারিভাবে জোটেনি কোনো সাহায্য। এছাড়া ভাঙ্গন রোধেও নেয়া হয়নি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। ঘর বাড়ি হারিয়ে অনেকেই এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

সরেজমিন মঙ্গলবার ( ২৮ জুলাই ) ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় দেখা গেছে বড়াটিয়া বাজারের পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব-দক্ষিণে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব‍্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে ওই বাজারের ৩০ টি ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ২০-২৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসত বাড়ি হারিয়ে আব্দুল খালেক, মোশাররফ হোসেন, আরিফ হোসেন, আব্দুল হালিম মিয়া ও আব্দুল ছালাম পরিবারের সবাইকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

অপরদিকে, ওই বাজারের ব‍্যবসায়ী মোঃ শাহজাহান, ইদ্রিস মিয়া, বিল্লাল হোসেন, রাসেল হোসেন, কুদ্দুস মিয়া, মফজেল হোসেন ও নূরুল আমিন ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। বতর্মানে তারা পরিবারের ভরণপোষন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছেন। ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে সিংগাইর-বালুখন্ড পাকা সড়কটিও। এছাড়া উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের বার্তাগ্রাম প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

চারিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাজেদুল আলম স্বাধীন বলেন, দু’বছর আগে নামে মাত্র কিছু জিও ব্যাগ ফেললেও ভাঙ্গন ঠেকানো যায়নি। শুষ্ক মৌসুমে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ইস্রাফিল নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করায় এবার ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারণ করেছে। আমি বিষয়টি উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে উপস্থাপন করেছি।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ডিজি মহোদয়সহ সংশ্লিষ্টদের লিখিতভাবে অবগত করেছি। বন্যার কারণে ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নিবার্হী অফিসার রুনা লায়লা বলেন, ইতিমধ্যে চারিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় কিছু সাহায্য করেছেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের দেয়া ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা অনুযায়ী সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে। কালিগঙ্গা নদীর চারিগ্রাম ও চান্দহর ইউনিয়নের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা সম্পর্কে জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

Related Articles

Back to top button