
স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সিগঞ্জ :
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় পুকুর থেকে ৭মাস বয়সী দুই জমজ বোনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত সোয়া আটার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী গ্রামের পুকুর থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে শিশু দুটিকে পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। শিশু দুটির একজনের নাম লামিয়া ও সামিয়া।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,প্রায় দেড় বছর আগে বিবন্দী গ্রামের মো.সোহাগ (৩২) এর সঙ্গে পাশ্ববর্তী দয়াহাঁটা মজিদপুর গ্রামের শান্তা আক্তার (২০) এর সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। সোহাগ দিন মজুরের কাজ করতেন।বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে বিভিন্ন কারনে শান্তা ও সোহাগের সংসারে ঝগড়া হতো। ৭ মাস আগে এই দম্পতির ঘরে লামিয়া এবং সামিয়া নামে দুই জমজ মেয়ের জন্ম হয়। সোমবার সন্ধ্যায় শান্তা প্রতিবেশীদের জানায় তাঁর মেয়েদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে পুকুরের পানি থেকে ওই দুই শিশুকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁদেরকে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোহাগের স্বজনদের অভিযোগ, সোহাগ বিকেলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গ্রামের পাশে বাজারে গিয়েছিল।তখন ওই দুই শিশু শান্তার কোলে ছিল। শিশু দুটিকে শান্তাই পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা করেছে।তবে একই পাল্টা অভিযোগ শান্তার স্বজনদেরও।তাঁরা বলেন দুটি শিশুকে সোহাগ পানিতে ফেলে বাজারে গিয়েছিল।
কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ও ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম বলেন, শিশু দুটিকে তাদের মধ্যে কেউ পানিতে ফেলেছে এমন কানাঘুষা আছে। এ বিষয়টি নিয়ে সোহাগ ও শান্তার পক্ষে-বিপক্ষেও নানা কথা শোনা যাচ্ছে।আমরা প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছি।
শান্তা ও তাঁর স্বামী সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য শ্রীনগর থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
শ্রীনগর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হুদা খান সোমবার রাত এগারটার দিকে বলেন, ঘটনাটি শুনতে পেয়ে আমরা লাশ দুটি উদ্ধার করি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় শিশু দুটির বাবা-মা দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে যতটুকু বুঝেছি এ ঘটনায় বাবা অথবা মা কেউ জড়িত থাকতে পারে। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়াধীন।