শেখ হাসিনা সরকার দলীয়করণ করে সকল সেক্টরকে ধ্বংস করেছে -ওয়াদুদ ভূইয়া
স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি:
পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার সরকার দেশের সকল সেক্টরকে দলীয় করণের মাধ্যমে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সারাদেশের মতো খাগড়াছড়ির সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরাও এ দলীয়করণ থেকে বাদ যায়নি। গত ১৫ বছরে খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে মেধাকে প্রাধান্য না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
৩১ আগষ্ট ২০২৪, শনিবার পৌর টাউন হল মিলনায়তনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজনে খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়নে মত বিনিময় সভা ও শিক্ষক সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর অনেকে নানাভাবে অরাজকতা করার চেষ্টা করেছে। তাদের মধ্যে কিছু বিএনপি নামধারীও ছিল। এ সব অরাজককারীদের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি ব্যবস্থা নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক শিক্ষাসহ সকল নিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছিল। মেধার ভিত্তিতে অসংখ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিগত ১৫ বছরে শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য হয়েছে। খোদ এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা শিক্ষক নিয়োগে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। যা ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি মাসুদ পারভেজ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষক সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ‘ওয়াদুদ ভূইয়ার সহধর্মীণী জাকিয়া জিন্নাত বিথী , জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. মালেক মিন্টু, মো. মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক অনিমেষ চাকমা রিংকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা, জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহাবুব আলম সবুজ ও খাগড়াছড়ি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারি শিক্ষক বৃন্দ এবং জেলার সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।