
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক , রাজবাড়ী :
রেলের এক বিন্দু পরিমান জমিও ছাড় দেওয়া যাবে না। রেলের জমি লিজ নিয়ে যারা বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেছেন তারা ঠিক করেন নাই। তথ্য গোপন করে যারা রেলের সম্পত্তি বেচা- কেনা করেছেন তারাও ঠিক করে নাই। ভুয়া কাগজে যারা রেলের জমি কিনেছেন তারা এখন সমস্যায় পড়েছেন। যাদের কাগজপত্র সঠিক আছে বলে দাবি করছেন- তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজপত্র জমা দিন। যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৬ মার্চ ২০২৪ ,শনিবার দুপুরে পাংশা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পাংশা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেলওয়ে ভুমি হতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম এমপি এসব কথা বলেন।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে (রেলপথ মন্ত্রী) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি কালো বিড়াল হতে চাই না। আমার নিজ এলাকা পাংশা থেকে রেলের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। ভুয়া কাগজ তৈরি করে সারাদেশের প্রায় ২৩ হাজার একরের বেশি রেলের জমি বেদখল করেছে লোকজন। রেলওয়ের বেদখল হওয়া সকল জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। উচ্ছেদ অভিযান চলমান প্রক্রিয়া। এটি অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপি বলেন, তেলের দাম বেড়েছে। বগি ও ইঞ্জিন স্বল্পতা আছে। লোকবল সংকটের কারণে অনেক স্টেশন বন্ধ আছে। লোকবল নিয়োগ করে বন্ধ থাকা প্রত্যেকটি স্টেশন আবার চালু করা হবে। ট্রেনে আপাতত ভাড়া বৃদ্ধি করা হচ্ছে না উল্লেখ করে বলেন, রেলভ্রমণ অতি নিরাপদ, খরচও কম। আগে রেলের খাবার জনপ্রিয় ছিল। ইতোমধ্যে রেলের খাবারের মান যাচাই করা হয়েছে। এখন খাবারের মান উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রেলে অভিযোগ বক্স রাখা হবে। যাত্রী সাধারণ সেখানে অভিযোগ বা মতামত দিতে পারবেন। রেলকে আধুনিকায়ন করা এবং রেলপথ সম্প্রসারণে রেলপথ মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন।
মত বিনিময় সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান ভুক্ত ভোগীদের সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে বলেন, চলতি মার্চ মাসের শেষ দিন পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পাংশার আপত্তি-মিনতি দেখা হবে। এ সময়ের মধ্যে রেলওয়ে বিভাগ কর্তৃক প্রেরিত নোটিশে মালিকানা দাবিদার ব্যক্তিদের রাজবাড়ীর কানুনগোর নিকট কাগজপত্র জমা প্রদানের জন্য তিনি আহবান জানান। তিনি বলেন, ন্যায় বিচারের মাধ্যমে ভূ-মালিকানা নিষ্পত্তি করা হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, উচ্ছেদ হওয়া আয়াশ রেস্টরেন্টের মালিক তৈমুর হাসান ,সুশান্ত নামের অপর একজন ব্যবসায়ী জমির বিষয়ে নিজেদের অভিমত তুলে ধরেন।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শ্যামল কুমার বিশ্বাসের উপস্থাপনায় মত বিনিময় সভায় রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জিআরএম নূর মোহাম্মদ, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো, পাংশার এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমান রুবেল, পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার, পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাছপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মাতৃকণ্ঠ সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।