রামগড়ের প্রাচীন এসডিও বাংলো সীমানা দন্ধে প্রশাসন ও বিজিবি
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক , রামগড় ,খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার অফিস টিলা প্রাচীন এসডিও বাংলো এলাকায় উপজেলা পরিষদের খতিয়ানভূক্ত জমি, জেলা প্রশাসকের নামীয় খাস জমিতে বিজিবি কর্তৃক পূর্বে দেয়া কাঁটা তারের বেস্টনীতে শ্রমিক দিয়ে পুনঃ সংস্কার কালে গতকাল সোমবার দুই শ্রমিককে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫ দিনের জেল হাজতে পাঠায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত।
উক্ত ঘটনার পর ২ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার ৪৩ বিজিবি নিজস্ব সৈন্যদের দিয়ে সকালে ক্যাম্প সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দাবী করে কাঁটাতারের বেস্টনী পুনঃ সংস্কারের কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে বিজিবির সৈনিকদের কাঁটা তারের বেস্টনী মেরামত কর্মকান্ড পরিদর্শন করে কোন ধরণের বাঁধা ছাড়াই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত সাংবাদিকদের বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের ২৮ নভেম্বর ২০২১ এর আদেশ অমান্য করে রামগড় উপজেলা পরিষদের জায়গার উপর অবস্থিত ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত রামগড় সাবেক মহকুমা প্রশাসকের এসডিও বাংলোর সামনে অবৈধ ভাবে কাঁটা তারের বেস্টনীতে কাজ করার সময় সোমবার ভ্রাম্যমান আদালতে দুই জনকে আটক করে ৫ দিনে জেল দেয়া হয়েছে। আজ সকালে বিজিবি নিজস্ব সৈন্যদের দিয়ে জায়গাটি দখলে নিতে পুনরায় কাঁটা তারের বেস্টনী মেরামত করে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার জানান, উপজেলা পরিষদের খতিয়ানভূক্ত জমি, জেলা প্রশাসকের নামীয় খাস জমিতে বর্তমানে সরকারী যুব উন্নয়ন অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক রয়েছে। তাছাড়া জায়গাটিতে উপজেলা ভূমি অফিস, উপজেলা মডেল মসজিদ, উপজেলা মৎস্য অফিস ও উপজেলাা শিক্ষা অফিস ভবন নির্মানের জন্য নির্ধারণ করা রয়েছে।
এ ছাড়াও ইউএনও গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করে বলেন, ২ আগষ্ট ২০২২ মঙ্গলবার সকালে অফিস শুরুর প্রাক্কালে প্রায় শতাধিক সশস্ত্র বিজিবি সদস্য বর্ণিত স্থানে বিদ্যমান সরকারির অফিস সমূহের সামনে অবস্থান করে কাঁটা তারের বেষ্টনী নির্মাণ কালে উক্ত স্থানে অবস্থিত সরকারি অফিস সমূহে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী, আগত সেবা প্রত্যাশী ও স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে আতংক ও ভীতির সঞ্চার হয়।
অপরদিকে রামগড় ৪৩ বিজিবি জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো: হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় জানান, ‘ আমরা ক্যাম্পের নিয়মিত রক্ষণা বেক্ষণ করেছি এবং কে বা কাহারা ঘেরের বেড়া ভেংগে দিয়েছিলো নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে ঘেরের বেড়া পুনরায় ঠিক করেছি। সেখানে মাত্র ১০ থেকে ১৫ জন সৈন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছাড়াই কাজ করেছে ।