জাবি প্রতিনিধি :
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তকে বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’_এর ব্যানারে জাবি-র সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
৫ জুলাই ২০২৪ শুক্রবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেইট এলাকায় এ মানববন্ধন করে । এ সময় তারা স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার তীব্র সমালোচনা করেন ও তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে চাওয়ার হুশিয়ারি দেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, এখন যদি মুক্তিযুদ্ধ হতো তাহলে আজকে যারা কোটার জন্য লড়ছে তারাই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতো, আর যারা কোটার জন্য লড়ছে তারাই দেখা যেত রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের দলে যোগ দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই ৭১—এ যারা লড়াই করেছেন তারা বৈষম্য দূর করার জন্য লড়াই করেছেন, এমন কোন যোদ্ধা নেই যিনি এই বৈষম্য দূর করার জন্য যুদ্ধে লড়েছিলেন। তাই বলতে চাই ১৯৭১ সালে যে চিন্তাধারা থেকে যুদ্ধ হয়েছিল, সেই চিন্তার সাথে মিল রেখেই আমাদের আন্দোলন। হাইকোর্টের রায় পিছিয়ে দিয়ে কোন লাভ নেই, যতদিন না রায় আমাদের পক্ষে আসছে ততদিন আমরা রাস্তায় থাকবো।
আহবায়ক আরিফ সোহেল আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করে বলেন, আমরা শনিবার প্রত্যেকটি হলে হলে গিয়ে গণসংযোগ চালাবো। পরদিন রবিবার আমরা ঢাকা—আরিচা মহাসড়ক বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত অবরোধ করবো। আপনারা ছাত্র ধর্মঘটের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ক্লাস—পরীক্ষা বর্জন করে দিন। শিক্ষকদের আন্দোলন শেষ করে তারা ক্লাসে ফিরলেও যতদিন না আমদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়া হচ্ছে আমরা সমস্ত ক্লাস—পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো না।
অন্যান্যদের মধ্যে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন , বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু ,নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহের আফরোজ শাওলী, তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ত্রয়োদশতম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪৫% কোটা তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পরে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে রায় দেন হাইকোর্ট।