Breakingচট্টগ্রাম অঞ্চলসারাদেশ

মিরসরাইয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবন্ধির জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, মিরসরাই , চট্টগ্রাম :
মিরসরাইয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধির জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠছে। ভূক্তভোগী অসহায় পরিবার নিজস্ব ভূমিতে স্থাপনা করতে চাইলে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ,শুক্রবার দুপুরে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী প্রতিবন্ধি জেসমিন আক্তারের স্বামী শামছুল আলম ও স্থানীয় সচেতন মহল।

 

শামছুল আলম অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ ১৮ লাখ টাকায় মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকায় পশ্চিম ইছাখালী মৌজায় বিএস ১৩২৩ নম্বর খতিয়ান থেকে সৃজিত নামজারী বিএস ৪১৬৪ খতিয়ান ভুক্ত ১৩৯১৩ দাগে ৭২৬ শতকের অন্দরে ৫৪ শতাংশ জমি উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের পশ্চিম মিঠানালা এলাকার হাফেজ আহম্মদের ছেলে দিদারুল আলমের কাছ থেকে আমার স্ত্রীর নামে খরিদ করেছি। জমি ক্রয় পরবর্তী দখল বুঝে নিয়ে স্থাপনা করতে গেলে উপজেলার ১০ নং মিঠানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার পরিবারের লোকজন আওয়ামী লীগ দলীয় লোক দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন ভাবে বাধা দেয় এবং কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের মেরে ফেলার হুমকি দেন। প্রতিকার না পেয়ে আমার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে বাদী করে চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ভাই আইনজীবি বদরুজ্জামান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম সদর মিরসরাই সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। ওই মামলায় সর্বশেষ গত ১৬ অক্টোবর আদালত বিবাদি তথা আবুল কাশেম ও বাদরুজ্জামান গং এর বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

১৬ অক্টোবর আদালতের আদেশ নামা নং ২৮ এর বিবরনীতে দেখা যায়, বিবাদী পক্ষ (আবুল কাশেম ও বাদরুজ্জামান গং) ১.৪২২০ একর সম্পত্তির জন্য নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছেন। অত্র মামলার তফসিল পর্যালোচনায় দেখা যায় যে বাদী (জেসমিন আক্তার) সুনির্দষ্ট চৌহদ্দি মোতাবেক ৫৪.০০২ শতকের জন্য চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা আনয়ন করেছেন। বিবাদী গণের দাবি উক্ত মূল মোকদ্দমার চৌহদ্দিভুক্ত জমির মধ্যে না। বিবাদীগনের দাবী মূল মামলার চৌহদ্দিভুক্ত না হওয়ায় বিদাদীগণ অত্র মোকদ্দমায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পেতে হকদার নয়। পক্ষান্তরে বাদী পক্ষের স্থিতাবস্থার আদেশের মেয়াদ আগামী ২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারী পর্যন্ত বর্ধিত করা হইলো।

বাদী জেসমিন আক্তার বলেন, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভাংচুর করে থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে জেলে পাঠিয়ে জোর পূর্বক জমি হাতিয়ে নিতে চেষ্টা করে আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছে কাশেম ও বদরুজ্জামান গং। সব জায়গায় তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখন আদালত তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তার পরেও তারা বিভিন্ন ভাবে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও জবর দখল থেকে নিস্তার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের সাক্ষাত পাওয়া যায় নাই, মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

Related Articles

Back to top button