স্টাফ রিপোর্টার , বান্দরবান :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, বান্দরবান এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বান্দরবান পর্যটন শহর হিসেবে ইতিমধ্যে সারাবিশ্বে নাম করেছে সে সঙ্গে এই এলাকার শিক্ষা, শান্তি ও উন্নয়নকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ শনিবার লামায় নবনির্মিত উপজেলা পরিষদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেষ্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মস্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য মন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় যা এখন প্রমাণিত। এ সময় মন্ত্রী সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এক সঙ্গে উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়া এবং দেশ বিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র নসাৎ করার আহ্বান জানান।
এরআগে বেলা ১১টায় ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে নবনির্মিত উপজেলা পরিষদ ভবনের উদ্ধোধন করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মস্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতার কারণে আজ সমতলের মত পাহাড়েও ব্যাঁপক উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে এবং দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প আর কিছুই নেই। এ সময় মন্ত্রী পার্বত্য এলাকার জনসাধারণের উন্নয়নের ধারা তরান্বিত করতে আগামীতেও বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরির পাশাপাশি অর্থনৌতিক উন্নয়ন তরান্বিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন, জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলাম বেবী, লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম, লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল ইসলাম মজুমদারসহ সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ: স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ছয় কোটি ১৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫১টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ সম্প্রসারিত ভবন ও হলরুম নির্মাণ করা হয়। একইসাথে এলজিইডির অর্থে এক কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বাসভবন এবং এক কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইউএনও বাসভবন নির্মাণ করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ছয় তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট চার তলা মূল ভবন কাজ সমাপ্ত হয়েছে। প্রতি ফ্লোরে ৪ হাজার ২৫০ বর্গফুট করে মোট ১৭ হাজার বর্গফুট এর মধ্যে ৩০টি কক্ষ রয়েছে। এছাড়া চার হাজার বর্গফুটের হলরুমসহ সর্বমোট ২১ হাজার বর্গফুটের আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে
