বাঁশখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ ; ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশের অভিযান
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, বাঁশখালী. চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলার বাদী হলেন বাঁশখালী থানার এস.আই গোলাম মোস্তাফা, বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে এস.আই মো.কিবরিয়া, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এস.আই নজরুল ইসলম বাদী হয়ে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলায় উল্লেখ যোগ্য আসামীরা হলো দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, আহ্বায়ক আবু ছুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান চৌধুরী ,আনোয়ারা উপজেলা বি.এন.পির সদস্য সচিব মো. হেলাল উদ্দীন, সাতকানিয়া উপজেলা বি.এন.পির আহ্বায়ক মো. জামাল উদ্দীন, বাঁশখালী উপজেলা বি.এন.পির সভাপতি মাস্টার লোকমান , সম্পাদক রেজাউল হক চৌধুরী সহ ৬৬জনের নাম উল্লেখ করে অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ৪৫০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
শুক্রবার ২৬ আগস্ট ২০২২ রাতে ভাঙচুর, বিষ্ফোরক ককটেল ফাটানো, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া সহ বিভিন্ন ধারায় এসব মামলা করে পুলিশ। রাতে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করেন পুলিম। আটককৃতরা হলো- বাঁশখালী পৌরসভা মহিলা দলের সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সহ-সম্পাদক সারাবান তাহুরা ফেরদৌসি কলি। এই ছাড়া দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জান্নাতুল নাঈম রিপু, ছাত্র নেতা মোঃ পারভেজ, মো. এমরান, মো. যোবায়ের, মো. দেলোয়ার হোসেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে তথ্য সনাক্ত করে উস্কানি দাতা ও হামলাকারীদের চিহিৃত করে পুলিশের উপর হামলা ঘটনায় জড়িত ৬জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।বিএনপির মিছিল থেকে প্রথমে যানবাহন ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয়। এ সময় তাদের বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৬৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও আসামি ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. হুমায়ুন কবির, বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এসএম আরিফুর রহমান, এসআই নজরুল ইসলাম, এএসআই নজরুল ইসলাম, কনস্টেবল মিনহাজ উদ্দিন, মাইন উদ্দিন, বিপ্লব দে, আব্দুল কাদের ও মফিজ আলম। এ সময় ছাত্রদল নেতা এনামুল হক, শহিদুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দীন সহ ২৫/৩০জন আহত হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বাক আবু সুফিয়ান জানান, ‘কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাশঁখালীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করা হয়। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাধায় সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করা হয়। বিকাল ৪টায় ওই সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাঁশখালী প্রধান সড়কে উঠার চেষ্টা কালে গুনাগরী জহুর ছড়া সড়কের উপর পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। মিছিলকারীদের বাধা দিলে দাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের অতর্কিত লাঠিচার্জ ও গুলিতে অন্তত ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।