পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুর্নমিলনী অনুষ্ঠিত
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,পানছড়ি,খাগড়াছড়ি : নানা আয়োজনে উৎসব মুখর পরিবেশে জেলার পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৬ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুর্নমিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিন পর প্রিয় ক্যাম্পাসে প্রিয় বন্ধুকে কাছে পেয়ে উৎসবে মেতে উঠে সবাই।
বিদ্যালয় মাঠে সাজানো প্যান্ডেলে প্রাক্তন ছাত্রী ডলি রাণী সাহা পেশায় শিক্ষিকা ও প্রাক্তন ছাত্র মোবারক হোসেন পেশায় ব্যবসা। তাদের উভয়ের সঞ্চালনায় পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ১৯৯৬ সালের এসএসসি ব্যাচের প্রাক্তনরা এসে তাদের স্ব পরিবারে প্রাণের ক্যাম্পাসে মিলিত হয়। শিক্ষিকা সবিতা চাকমা আবেগ আপ্লুত হয়ে তার প্রাক্তন ছাত্রীদের বুকে জড়িয়ে ধরেন। শিক্ষকগনও তাদের প্রাক্তন ছাত্রদের মমতায় জড়িয়ে রাখেন।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক -ছাত্র যারা লোকান্তরিত হয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দিনব্যাপী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুরু হয় ।
অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক অলি আহাম্মদের হাতে ৯৬ ব্যাচের পক্ষ থেকে স্কুলকে একটি সম্মাননা ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মো. ইউসুফ আলী । তিনি বলেন, শিক্ষককরা আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছেন তাই নিয়েই আমরা জীবনের পথে চলছি। তাদের নীতি-নৈতিকতার শিক্ষাই আজ আমাদের জীবনের পাথেয়। আমাদের জীবন সেই অর্থে এই শিক্ষকদেরই দান। তাদের সম্মানিত করার সামর্থ-সাধ্য আমাদের নেই। তাদের সম্মানিত করে আমরা নিজেরাই সম্মানিত ও গৌরবান্বিত বোধ করছি।
গান, আবৃত্তি, গল্প, আড্ডা আর স্মৃতিচারণায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা হারিয়ে যান পঁচিশ বছর আগে তাদের কৈশোরের আনন্দ-উচ্ছ্বল দিন গুলোতে। কথা হয় জাহাঙ্গীর আলম.সবুজ ত্রিপুরা,কামরুল হাসান,আলপনা দে,সালা উদ্দিন আল রাহাত,শাহানা আক্তার, মাহবুবা সুলতানা সহ অনেকের সাথে। তারা জানান, বর্তমানে কেউ সরকারী -বেসরকারী চাকুরি জীবি , ব্যাংকার,শিক্ষক,ব্যবসায়ী ,গৃহীনি পেশায় আছে। সবাই সকলের পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করে অতীতের কিশোর সময়টার কথা ভুলেই বসেছে। অনেকদিন পর সহপাঠিদের কাছে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত সবাই।আজ দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মিলন মেলায় রূপ নিয়েছে।
এ সময় প্রাক্তনরা বলেন, সহপাঠিদের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তাঁরা সংগঠিত হওয়া শুরু করেন। শুরু থেকেই সবার আকাঙ্ক্ষা ছিল একত্রিত হওয়ার, হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার।এর মাধ্যমের সবাই সবার সুখ-দুঃখের ভাগিদার হচ্ছে। এই প্রচেষ্টার আন্তরিক রূপ হচ্ছে এই পুনর্মিলনী। ভবিষ্যতেও এই ধরনের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রাক্তনরা।