চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় , ঢাকা : এএসপি আনিসুল করিম শিপনকে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে কর্মচারীদের নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এএসপি আনিসুল করিম শিপন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র। তিনি ৩১তম বিসিএস এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক এস এম সাদাত হোসাইনের সঞ্চালনায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে শিপনকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে খুনিদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ হত্যাকান্ডের বিচারের মাধ্যমে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। অন্যথায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।’
এসময় বক্তারা বলেন, ‘এদেশে সশস্ত্র বাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা যদি নিরাপদ না থাকেন তাহলে সাধারণ মানুষেরা কিভাবে নিরাপদ থাকবে? সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় আমরা প্রতিবাদ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এখন আর প্রতিবাদ নয়, আমাদেরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদেশকে নিরাপদ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘শিপনকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কারা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ও কারা এই হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট। আমরা এ সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ডের বিচার চাই। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার রাজপথে থাকবে।’
এ সময় আগামী শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এএসপি শিপন হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, সোমবার (৯ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার।