পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চলের ভূমিহীন-গৃহহীনরাও পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার সমৃদ্ধির বাতিঘর
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, নড়িয়া ,শরীয়তপুর : মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীন শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চল চরআত্রা ও নওপাড়া ইউনিয়নের ভূমিহীন গৃহহীনরাও পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিব শত বর্ষের ঘর। চতুর্দিকে পদ্মা নদী বেষ্টিত এই দীপাঞ্চলে নির্মাণ করা হয়েছে মুজিব শতবর্ষের ১০০ ঘর। এ ঘরগুলো বিমান বা ড্রোন দিয়ে দেখলে ইংরেজি 100 (হানড্রেড) এর মতো দেখা যাবে।
চরআত্রা ও নওপাড়া এ দুটি ইউনিয়ন নড়িয়া উপজেলার মূলভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন পদ্মাবিধৌত চর এলাকা। এখানকার অধিকাংশ মানুষ ছোট ছোট টং ঘরে বসবাস করে। এ এলাকায় প্রতি বছরই হয় নদী ভাঙ্গন। তাই তাদেরকে স্থায়ী বেড়িবাধ আর দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্থায়ী পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। দুঃখ কষ্ট আর অনুন্নত জীবন ব্যবস্থা এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিলো এখানে মানুষের নিত্য সঙ্গী। সাবমেরিন ক্যাবল ও রিভারক্রস টাওয়ারের এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ আসায় উন্নয়নের সমৃদ্ধালয় আলোকিত এখন এই চরাঞ্চল। এখানে মানুষের জীবনে এখন নাগরিক সুবিধায় পেয়েছে পরিপূর্ণতা।
জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বলেন, বিদ্যুতের আলোর সাথে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়নের ঘর এখান কার মানুষের জীবনে নিয়ে এসেছে নতুন গতি। যেহেতু ঘরের নির্মাণ কাজ শেষের দিকে তাই পুরো এলাকা উৎসব মূখর। প্রতিটি ঠিকানাহীন মানুষ ছুঁয়ে দেখবে তাদের স্বপ্নের স্থায়ী ঠিকানা। আস্থা ও স্বস্থির ঘুমে কাটবে প্রতিটি রাত। আশ্রয়ন কেন্দ্রিক কৃষি আবাদ ও নতুন কাজের সুবিধায় গরে উঠবে সমৃদ্ধির আর্থ সামাজিক কাঠামো। খুব শীঘ্রই এসব ঘর হস্তান্তর করা হবে নির্ধারিত ভূমিহীন গৃহহীন উপকারভোগীদের মাঝে।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, শরীয়তপুরের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন পদ্মা নদীর মাঝখানের এই অঞ্চলটি ছিল দীর্ঘদিন যাবত ছিল অবহেলিত। তাদের আত্মসামাজিক উন্নয়ন সহ উন্নত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী। দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করতে এখানে বিদ্যুৎ সহ রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়েছে। আজ বদলে গেছে এই জনপদের রুপরেখা। উন্নত এবং সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে এ এলাকার খেটে খাওয়া পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। দেশে প্রথম এই এলাকাতেই সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ এনে করা হয়েছে আলোকিত।