নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত ফটিকছড়ির নারায়ণহাট ইউপি-র জনসাধারণ
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম:
অফিস চলাকালীন দুপুরের পর থেকে রেস্টে থাকেন ফটিকছড়ির নারায়নহাট ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মৃদুল কান্তি নাথ। দিনের অর্ধেক সময় অফিস না করে বিশ্রামে নেওয়া তাঁর নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদেন প্রধান নির্বাহী প্রতিদিন একই সময়ে বিশ্রামে থাকার কারনে সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবা প্রার্থীদের।গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় সচিব নিজের মর্জি মাফিক পরিষদ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযোগে জানা যায়, মধ্যাহ্নভোজের পর সরকারী বিধি অমান্য করে পরিষদের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে বিশ্রামের নামে ঘুমিয়ে পড়েন সচিব।
২০ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার বিকাল ৩ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সচিবের কক্ষটি বাইরে থেকে তালা বদ্ধ। এসময় ১০ থেকে ১২ জন পুরুষ ও মহিলা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সচিবের স্বাক্ষর নিতে অপেক্ষা করছে।
এ সময় দায়িত্বরত মালী লায়লা বেগমের নিকট সচিবের অবস্থান জানতে চাইলে বলেন সচিব উপরের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছেন।
সেবা নিতে আসা উপস্থিত বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এটি এক দিনের সমস্যা নয়। সচিব প্রতিদিন দুপুরের ভাত খেয়ে ঘুমাতে যান। যার ফলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে বসে থাকতে হয় আমাদের মতো সেবা প্রার্থীদের।
অন্যদিকে, সচিরের দীর্ঘ রেস্ট নিয়ে বিরক্ত পরিষদের অন্য কর্মকর্তা ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।এ নিয়ে গ্রাম পুলিশ সদস্য ইমাম হাসান বলেন, স্যার প্রতিদিন দুপুরে দুই ঘন্টা মতো ঘুমান পরে ঘুম থেকে উঠে সন্ধ্যা পর্যস্ত অফিস করেন। ফলে স্যারকে সাহায্য করার জন্য বাধ্য হয়ে আমাদেরকেও উপস্থিত থাকতে হয়।
দায়িত্বরত মালি বিশ্রামের কথা স্বীকার করে বলেন, স্যার দুপুরে ঘুমাতে গেলে আমি নীচে বসে থাকি। স্যারের খোঁজে কেউ আসলে তাদের অপেক্ষা করতে বলি।
জানতে চাইলে নারায়নহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃদুল চন্দ্র নাথ বলেন, দুপুরে ভাত খেয়ে একটু না ঘুমালে সারাদিন কাজ করতে পারি না। তাই একটু রেস্ট নিই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অফিস সময়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তার ঘুমানোর কোন বিধান নেই বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।