নববর্ষ ও বৈসাবি- কে ঘিরে পাহাড়ে চলছে সাজ সাজ রব
স্টাফ রিপোর্টার , রাঙ্গামাটি :
পুরোনো বছর বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে পাহাড়ে এখন চলছে সাজ সাজ রব। উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে নানা আয়োজন। বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু ও সংক্রান্ত উৎসব ঘিরে পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টীরা মিলিত হচ্ছে মিলন মেলায়। প্রাণের এই উৎসবে রং লেগেছে সব বয়সের মানুষের মনে।
গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে পাহাড়িদের প্রধান এই সামাজিক উৎসব। এই উৎসব ঘিরে সব সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটছে। তাই এই উৎসবকে প্রাণের উৎসব হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলার পুরোনো বছর বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে উৎসবে মেতে উঠছেন প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষ।
সম্প্রদায় ভেদে উৎসবকে চাকমারা বিজু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরারা বৈসু বা বৈসুক, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, অহমিয়ারা বিহু এবং চাক, ম্রো, বম, খুমিরা চাংক্রান্ত নামে পালন করেন। সমতলের লোকজনের কাছে এই উৎসব বৈসাবি নামে পরিচিত। বৈসুর বৈ, সাংগ্রাইয়ের সা ও বিজুর বি থেকে বৈসাবি শব্দের উৎপত্তি।
আগামীকাল শুক্রবার চাকমা, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের তরুণ তরুনীরা গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে মূল উৎসব শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর উৎসবও হবে। চাকমাদের মূল উৎসব চলবে তিন দিন। তবে সম্প্রদায় ভেদে তিন থেকে সাত দিন ধরে উৎসব হয়। আগামী ১৬ এপ্রিল মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই জলোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। রাঙ্গামাটি চিংহ্লা মং মারী ষ্টেডিয়ামে এই উৎসবে মেতে উঠবে পুরো রাঙ্গামাটি জেলার মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ।
দ্বিতীয় দিন মূল বিজুতে অতিথি আপ্যায়ন ও খানাপিনা। তৃতীয় দিন বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পূজা–অর্চনা করা হবে। ত্রিপুরাদের তিন দিনব্যাপী বৈসু উৎসব শুরু হয়েছে। উৎসবের প্রথম দিনে পূজা–অর্চনা ও বাড়ি ঘর সাজানো-পরিষ্কার করা হয়। দ্বিতীয় দিনে অতিথি আপ্যায়ন ও খানা পিনা। তৃতীয় দিনে হাঁস-মুরগি ও পশু পাখিদের খাবার দেওয়া, গরাইয়া নৃত্য ও বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়ে থাকে।