Breakingসারাদেশ

দাউদকান্দির মহাসড়কে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, দাউদকান্দি , কুমিল্লা :
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

 

১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত মহাসড়কের শহিদ নগর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকটি এস্কেভেটর দিয়ে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে শহিদনগর ট্রমা সেন্টারের সামনে, শহিদ নগর বাস স্ট্যান্ড ও শহীদ নজরুল ইসলাম সড়কের দু’পাশে চায়ের দোকান, খাদ্যের দোকান, হোটেল, বেকারি, ফলের দোকান, ওয়ার্কসপ ও ওষুধের দোকান সহ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

 

 

কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মহাসড়কের পাশের সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ সহ পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে। কানেক্টিভিটি প্রজেক্টের আওতায় মহা সড়কটির অনেক বড় আকাড়ে সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা চলছে ।

 

উচ্ছেদের বিষয়ে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, সড়ক ও জনপথের জায়গায় অবৈধ ভাবে দখলদাররা আছেন। সরকারি জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এটা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম। আগে লাল চিহ্ন দেয়া হয়েছে এবং গতকাল (বুধবার) মাইকিংও করা হয়েছে। যারা অবৈধ দখলদার তারা নিজেরাই জানেন অবৈধ, এখানে নোটিশ করার কোন কিছু আছে কিনা আমার জানা নেই । আমরা আমাদের সরকারি জায়গা থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেছি এটা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম। আমরা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করতেছি। জনগন যাতে সস্তিতে চলাচল করতে পারে এবং সরকারি জায়গা যাতে দখল মুক্ত থাকে সে ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট সজাগ। আর এই উচ্ছেদ অভিযান আমাদের রুটিন ওয়ার্ক এটি চলমান থাকবে।

 

সড়ক ও জনপথ বিভাগ মহাসড়কটি কানেক্টিভিটি প্রজেক্টের আওতায় সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে । ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, বৃহস্পতিবার মহা সড়কের শহিদ নগর এলাকায় প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে বুধবার মাইকিং করে দখল দারদেরকে সরে যাওযার জন্য বলা হয়েছিল।

 

উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক, দাউদ কান্দি হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ শাহীনুর ইসলাম, গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান সহ ফায়ার সার্ভিস ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Back to top button