Breakingরাজনীতিসারাদেশ

জাবি ছাত্রলীগের সম্পাদক লিটনের পদত্যাগের দাবিতে কালো পতাকা মিছিল

জাবি প্রতিনিধি :
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করেছে সম্পাদকের অনুসারী বিদ্রোহীরা। বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছয়টি আবাসিক হলের সম্পাদকের অনুসারী বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহীদ মিনারে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের ‘এক দফা এক দাবি, লিটন তুই কবে যাবি’, ‘চাঁদাবাজ সেক্রেটারি, মানি না, মানব না’, ‘লিটনের চামড়া, তুলে নেব আমরা’ ‘এক দুই তিন চার, লিটন তুই গদি ছাড়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

 

 

লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ট্রেন্ডারবাজি, জমিদখল, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ এবং নেতা-কর্মীদের সাথে অসদাচরণের প্রেক্ষিতে আমরা তাকে গত ২৩ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেছি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক তাকে যে পবিত্র দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে, আমরা মনে করি সে তার জুলুম, নিপিড়ন, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে দায়িত্বের অবহেলা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে কলংকিত করেছে।

 

কেন্দ্র থেকে তদন্ত চলাকালীন অবস্থায়, গত ৩১ জানুয়ারি প্রহসনের নামে সিনিয়র নেতা কর্মীদের সাথে সমন্বয় না করে তিনি যে হল কমিটি গঠন করেছেন, সেখানে ত্যাগীদের বঞ্চিত করে বিবাহিত, বহিষ্কৃত এবং ক্যাম্পাসে যাদের নামে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে দিয়ে তড়িঘড়ি করে হল কমিটি গঠন করেছেন।

 

ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে এই হল কমিটি গঠন করেছেন বলে নেতাকর্মীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তার পদত্যাগ দাবি করেন। তারা আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি প্রমান করে হাবিবুর রহমান লিটনের পদত্যাগের কোন বিকল্প নেই।

 

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের ছয় হলের নেতাকর্মীরা (শহীদ সালাম বরকত হলের আরাফাত ইসলাম বিজয়, আল বেরুনী হলের চিন্ময় সরকার, এম এইচ হলের লেনিন মাহবুব, শহীদ রফিক- জব্বার হলের সাজ্জাদ শোয়াইব চৌধুরী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের তৌহিদুল ইসলাম তাকিদ, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের জাহিদুজ্জামান শাকিল) জমি দখল, ক্যাম্পাস এ রাজনীতি বিকেন্দ্রীকরণ না করাসহ একাধিক অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে ক্যাম্পাস থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ উক্ত ঘটনার তদন্তে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। তদন্ত চলাকালে গত বুধবার রাতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল ও শেখ হাসিনা হলের হল কমিটি গঠন করা হয়।

Related Articles

Back to top button