Breakingজাতীয়সারাদেশ

চাঁপাইন বাব গঞ্জ সোনা মসজিদ সীমান্তের লংমার্চ থেকে ফেনী নদীর প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও ৫৪ টি নদীর পানির ন্যয্য হিস্যা আদায়ে সরকার কে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জাানিয়ে ‎ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে আইন জীবীদের সংগঠন ‘ভয়েস অব ল’ইয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত কর্মসূচি ৭ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়েছে।

 

 

বিকেলে লংমার্চের বহরটি সিরাজগঞ্জে পৌঁছালে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের কে স্বাগত জানান।

 

 

 

সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন এর সঞ্চালনায়, পথসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল, ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী ভয়েস অব ল’ইয়ার্স বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ-জামান, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায প্রমুখ।

 

 

লংমার্চ থেকে সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ কতৃক সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও ৫৪ টি নদীর পানির ন্যয্য হিস্যা আদায়ের জন্য সরকার কে-ই উদ্যোগ নিতে হবে।

 

 

এ সময় তিনি বলেন ,”ভারত ফারাক্কা, তিস্তা ও টিপাইমুখ সহ বাংলাদেশের ৫৪টি নদী থেকে একতরফাভাবে পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা দিয়ে বাংলাদেশ কে পানি বঞ্চিত করছে,যা আন্তর্জাতিক নদী আইনের লঙ্ঘন।

 

 

বাংলাদেশকে রাজনৈতিকভাবে চাপে রাখতেই এমন নীতি গ্রহণ করেছে প্রতিবেশি দেশ ভারত। আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ১৯৯৬ সালে ৩০ বছরের পানিবন্টন চুক্তি হলেও এখনো পানির ন্যয্য হিস্যা বুঝে পায়নি বাংলাদেশ। অথচ কখনো খরায়, কখনো অতি বন্যায় বিলীন হয়েছে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শত শত গ্রাম কিংবা ফসলি মাঠ।

 

 

এ সময় তিনি আরও বলেন, “কোন ধরনের চুক্তি ছাড়াই গত প্রায় এক যুগ ধরে ৩৭টি স্থানে পাম্প বসিয়ে ফেনী নদী থেকে অবিরাম পানি তুলে নিচ্ছে ভারত। ফেনী নদীর উৎপত্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হলেও এই নদীর উপর একক আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে তারা।

 

 

 

১৯৭৪ সালে সম্পাদিত ইন্দিরা-মুজিব চুক্তিতে বলা আছে, সীমান্তের শূন্যরেখা হতে উভয় পাশে ১৫০ গজের ভিতরে কেউ কোন স্থায়ী স্থাপনা তৈরি করতে পারবে না। অথচ ভারত সে চুক্তি লঙ্ঘন করে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় এরিয়ায় ফেনী নদীর কূল ঘেঁষে মাত্র ২০ থেকে ৫০ গজের মধ্যে বেআইনীভাবে ৩৭টি পাকা পাম্প হাউজ তৈরি করে পানি তুলে নিচ্ছে। ফলে ফেনী নদী অস্থিত্ব হারাতে বসেছে। অনতিবিলম্বে ফেনী নদীসহ ৫৪টি নদীর পানি স্বাভাবিক প্রবাহে বাঁধা প্রদানের কারণে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার করার ও অনতিবিলম্বে পানি বন্টন সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার কে উদ্যোগ নেওয়া আহবান জানান।

Related Articles

Back to top button