স্টাফ রিপোর্টার ,কক্সবাজার :
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় কক্সবাজারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মিষ্টি পান বরজের। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় অসংখ্য বসতবাড়ি ভেঙে গেছে। দেয়ালচাঁপা ও গাছ পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২৪ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার রাত ৯টায় কক্সবাজার শহরে দেয়াল চাপায় আবদুল খালেক (৩৮) নামের এক যুবক মারা যান। পাহাড়তলীর জিয়া নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় হামুন। এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত ও তীব্র বাতাসের বেগ ছিল। ওই সময় আবদুল খালেক বাসায় কাজ করছিলেন। হঠাৎ বাড়ির দেয়াল তার গায়ের ওপর পড়ে। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় হামুন এর তাণ্ডবে গাছ পড়ে চকরিয়ার বদরখালীতে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত আসকর আলী চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সদস্য। এছাড়া, মহেশখালীর বড় কুলাল পাড়ায় আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, প্রবল বাতাসে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে শহরের হলিডে মোড়, বাহারছড়া, বাংলাবাজার, হিমছড়ি সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে রাস্তার ওপর থেকে গাছের ডালপালা সরিয়ে নিলেও বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ এর খুঁটি ভেঙে পড়ে যাওয়ায় পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যা এখনো সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিমি মারমা জানিয়েছেন মহেশখালীতে পানের বরজের ব্যাপক ক ক্ষতি হয়েছে। সদ্য লাগানো এই পানের বরজের প্রায় সবকটির উপরের ছাউনি ঝড়ো হাওয়ায় উড়ে গেছে। এতে সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য ঘরবাড়ি জড়ো হাওয়ায় ভেঙে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ণয় কাজ করছে ও প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন পৌর এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হয়নি ভেঙে পড়া গাছের ডালপালা গুলি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সমুদ্র সৈকত এলাকায় দোকান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান জানান, ঝড়ো হাওয়ায় কক্সবাজারে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছি।