Breakingঅপরাধচট্টগ্রাম অঞ্চলসারাদেশ

খাগড়াছড়ি-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গাছ খাচ্ছে চা বাগান কর্তৃপক্ষ

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, রামগড় , খাগড়াছড়ি  :
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির উত্তরে অবস্থিত রামগড় চা বাগানে নির্বিচারে গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

 

অভিযোগ রয়েছে ১৫নভেম্বর ২০২৩ বুধবার বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া বাগান ব্যবস্থাপকের নির্দেশে এসব গাছ কাটা হচ্ছে। খবর পেয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেলে বাগানের বহিরাগত লোকজন ও শ্রমিকরা মারমুখী আচরণ করে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়,খাগড়াছড়ি-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত রামগড় চা বাগানের গাছ গুলো নির্বিচারে কাটছে বাগান কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাগানের ১নং গেইটের পাশে থাকা অন্তত ৩০টি মেহগনি ও ছায়াবৃক্ষ গাছ কেটে ট্রাক যোগে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চা বাগানের কয়েকজন কর্মচারী জানান, বাগান ব্যবস্থাপকের নির্দেশে তারা গাছ কাটছেন। ব্যবস্থাপকের সাথে কথা বলুন।

 

এদিকে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কর্মরত শ্রমিক ও বাগানের ভাড়াকরা বহিরাগত লোকজন স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর সাথে খারাপ আচরণ করে এবং তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয় পরে ছবি এবং ভিডিও ডিলেট করে মোবাইল তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

 

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চা বাগানের ব্যবস্থাপক জয়নাল আবদীন এর মুঠোফোনে একাদিকবার কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

হেয়াকা বন বিট কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, খবর পেয়ে তিনি সরেজমিন গিয়েছেন। বাগানের ম্যানেজারের নির্দেশে গাছগুলো কাটছে। এ নিয়ে ম্যানেজার ও শ্রমিকদের সঙ্গে তার তর্কবিতর্ক হয়। বিষয়টি তিনি উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। গাছ গুলো সড়ক ও জনপথ বিভাগ কাটছে বলে বাগান ম্যানেজার মিথ্যাচার করেছেন। তাদের সামনেই কর্তন কৃত গাছ গুলো ট্রাকে করে বাগানের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়।

 

চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বন সংরক্ষক কর্মকর্তা হারুনর রশিদ জানান, বিনা অনুমতিতে গাছ কাটার সময় বাঁধা দেওয়ায় আমাদের নারায়ন হাট রেঞ্জের ৩জন বিট কর্মকর্তাকে বাগানের উপস্থিত লোকজন লাঞ্চিত করেছেন। মারমুখী আচরণে কর্মকর্তারা পিছু হটে। এর আগেও বন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তাদের সাথে তিনি উশৃঙ্খল আচরণ করেছেন। আমরা খবর পেয়েছি কর্তনকৃত গাছ গুলো চা বাগানের ভেতরেই আছে। প্রশাসন কে সাথে নিয়ে আমরা গাছ উদ্ধারে যাবো।

 

রামগড়-বারইয়ারহাট সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন জানান, চা বাগানকে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

 

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোজাম্মেল হক জানান, তিনি গতকাল যোগদান করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল মালেক জানান, বিনা অনুমতিতে গাছ কাটা আইনত অপরাধ। এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Back to top button