Breakingঅপরাধখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

খাগড়াছড়ির পাহাড়ে প্রতিবেশীর ঝোপের আগুনে আম বাগান শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি :
পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রত্যন্তাঞ্চল সনটিলা এলাকায় বিস্তীর্ণ বনভূমি আগুনে পুড়ে গেছে। এতে পাহাড়ে সৃজিত ফলজ বাগানের ফলন্ত আম গাছ আগুনে পুড়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট সহ স্থানীয় আমচাষী লোকসানে পড়েছে।

 

আমাদের প্রতিনিধি সরেজমিনে গেলে স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রতিবেশী জমির মালিক আব্দুল মজিদের ছেলে ইউসুফ আলী বনজ গাছ পালা ঝোপঝাড় কেটে রেখেছিলো। সেখানে আগুন দিলে ফলন্ত আম বাগানটি পু্ড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

একই গ্রামের বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্থ কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ নবী জানান,আব্দুল মজিদের ছেলে ইউসুফ আলী তার প্রতিবেশী। সে চাষাবাদের জন্য একই পাহাড়ের তার অংশে ঝোপঝাড় কেটেছে। পরে শনিবার ১১ টার দিকে আগুন দিয়ে চলে আসে এতে করে আমার আম বাগানের ২৬ টি ফলন্ত আমগাছ আগুনে পুড়ে যায়। আমি আগুনের খবর পেয়ে সাথে সাথে বাগানে যাই এবং কোন ভাবে আমার অংশে আগুন নিয়ন্ত্রণ করি।এতে আমার হাত সহ কয়েক জায়গায় পুড়ে যায়।একই সাথে আমার ৪ বছরের সৃজিত বাগানের ২৬ টি ফলন্ত আমগাছ সহ কিছু অংশ পুড়ে যায়।

 

আগুনে বিষম ক্ষয় ক্ষতির বিষয়টি এলাকার মুরুব্বি ও সমাজ নেতা, স্থানীয় আনসার ক্যাম্পে অবগত করাই। গত ২৫ মার্চ স্থানীয় সমাজবাসী শালিসে মানবিক দিক বিবেচনা করে ,আব্দুল মজিদের ছেলে ইউসুফ আলীর উপস্থিতিতে দশ হাজার টাকা জরিমানা করে। যাতে করে নতুন চারা – সার কিনে এনে পুনারায় বাগান সৃজিত করতে পারি। কিন্তু সে বর্তমানে উল্টো আমাকে নানাভাবে হুমকি দমকি দিতেছে। এবং অবশিষ্ট বাগানও পু্রে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

 

ছনটিলা আনসার ক্যাম্প ইনচার্জ বলেন, বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। আমিও আমার উর্ধ্বতনকে জানিয়েছি। এছাড়াও সামাজিক ভাবে এটা নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য বৈঠক বসেছে জানি।

 

আগুনের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল মজিদের ছেলে ইউসুফ আলী বলেন, আমি আমার পাহাড়ের ঝোপঝাড় কেটেছি। তবে আমি আগুন দেই নাই। তবে যেদিন আগুন লেগেছে সেদিন ১১ টার দিকে আমি জমি থেকে চলে এসেছি। হয়তো কেউ আগুন লাগিয়ে আমাকে ফাঁসাইতে চাইতেছে।

সামাজিক সালিশ / বিচারে উপস্থিত থাকা আবুল কালাম, আফজল মিয়া, রিয়াজ মিয়া, আলমগীর হোসেন, ইউসুফ মিয়া সহ বেশ কয়েকজন জানান, সালিশে স্বাক্ষী, বাদী বিবাদীর সকল কিছু পর্যালোচনা করে মানবিক দিক বিবেচনা করে,আব্দুল মজিদের ছেলে ইউসুফ আলীকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তখন সে বিচার মেনে নিয়ে এখন আবার উল্টা কথা বলছে। সামাজিক বিচার না মানলে ইউসুফ আইনের আশ্রয় নিতে পারে।

Related Articles

Back to top button