Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

খাগড়াছড়িতে ‘পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস’ পুরস্কার বিতরণ

স্টাফ  রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি  :

খাগড়াছড়ির শিক্ষাঙ্গনে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ‘পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস (PBG)’ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের দক্ষতায় উৎসাহ প্রদানে আয়োজিত এই অনুপ্রেরণা মূলক আয়োজন প্রাণবন্ত করে তুলেছিল পুরো হলরুম।

৩০ জুলাই ২০২৫, বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের যৌথ আয়োজনে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (SEDP)’ এর আওতায় অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মাননা অনুষ্ঠান।

 

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৯ জন শিক্ষার্থীকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো হয়েছে। পুরস্কারের মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ লাখ ৫ হাজার টাকা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পুলক বরন চাকমা। সভাপতিত্ব করেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র শিক্ষক মো. ইউসুফ আদনান।

বক্তব্য রাখেন,খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন,সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফখরুল ইসলাম,নতুন কুড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাই স্কুলে র প্রধান শিক্ষক রুশদীনা আখতার জাহান সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

তাঁরা বলেন— “শিক্ষা কেবল পাঠ্যবইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং শৃঙ্খলা, নৈতিকতা ও নেতৃত্বেও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন জরুরি। এই পুরস্কার শিক্ষার্থীদের মাঝে গঠনমূলক প্রতিযোগিতা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি করে।”

 

অতিথিরা পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশংসা করে বলেন— “তারা শিক্ষায় যে মান স্থাপন করেছে, তা আগামীর জন্য পথ প্রদর্শক হয়ে থাকবে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে খাগড়াছড়ি একদিন দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাঙ্গনের তালিকায় উঠে আসবে।”

 

অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। তাঁরা জানান—এমন স্বীকৃতি প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষে নতুন মাত্রা যোগ করে। নিয়মিত এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে বিদ্যালয়গুলো মানসম্পন্ন ও সৃজনশীল শিক্ষায় আরও সক্রিয় হবে।

Related Articles

Back to top button